ভোলা
আতঙ্কের মধ্যে চলছে তজুমদ্দিনে শেষ প্রচারণা
আগামী ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ ভোটারদের মাঝে তেমন একটা আগ্রহ না থাকলেও ভোলার তজুমদ্দিন এবং লালমোহনে আওয়ামী লীগের প্রতিদন্দী আওয়ামী লীগই।
হামলা আর ভাংচুরের ঘটনায় কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছেন ভোটাররা। তবে নিরাপত্তার কমতি থাকবে না বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
দ্বীপজেলা ভোলার ৭টি উপজেলা থাকলেও ইতিমধ্যেই ৫টি উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বীনা প্রতিদন্দীতায় নির্বাচীত হয়েছেন আর ২টির মধ্যে গত ২৪মার্চ বোরহানউদ্দিনে শুধু ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর দৌলতখানে শুধু ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন এবং চেয়ারম্যানসহ সকল পদে জেলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৩১মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে জেলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলাতেই চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে। আর এই দুটি উপজেলায় নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক দেওয়ান এবং অপর প্রার্থী হচ্ছেন জেলা আ.লীগ সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন দুলাল যিনি আনারস মার্কা নিয়ে প্রতিদন্দীতা করছেন। এই উপজেলায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় হামলা,নির্বাচনী অফিস ভাংচুর এর মত ঘটনা ঘটেছে। থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে হামলা ও ভাংচুর আর পোস্টার ছিড়ে ফেলার ঘটনা। ইতমধ্যেই এসব ঘঁনায় উভয় পক্ষ থেকে ৪টি মামলা করা হয়েছে। তবে এসব মামলায় তেমন কোন অগ্রগতি না থাকায় হামলা আর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর এর মত ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই মঙ্গল সিকদার, কাজিকাটা, চাচড়া, ফকিরহাট, বউ বাজার, আনন্দ বাজার, খাশেরহাট এবং এছাড়াও বিক্ষিপ্ত ভাবে প্রায় স্থানে হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় মামলা হলেও পুলিশের তেমন কোন ততপড়তা নেই বলে অভিযোগ প্রার্থীদের।
ভোলার তজুমদ্দিন থানার ওসি মোঃ ফারুক আহমেদ বলেন,আমরা সতর্ক আছি। কোন ধরনের আইনশৃংখলার অবনতি ঘটে এমন কাজ হতে দিব না। একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটসহ আমরা সব সময় টহল দিচ্ছি। আশা করছি ৩১মার্চ শান্তিপুর্ন পরিবেশে ভোট হবে।