প্রধান প্রতিবেদন
আ.লীগের নাম ভাঙিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের দিন শেষ : বিসিসি মেয়র
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেছেন, আমাদের নেত্রী এ দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তাই আমাদেরও লক্ষ্য হবে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমরা সকলকে নিয়ে কাজ করবো এটাই হোক আজকের দিনের অঙ্গিকার।
সোমবার পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন। বিকেলে নগরীর সদর রোডস্থ শহীদ সোহেল চত্বরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, দেশে শুদ্ধি অভিযান চলছে। অনেক আগেই মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা এই অভিযানকে অভিনন্দন জানিয়েছি। কারন মহানগর আওয়ামী লীগে হাইব্রিড এবং বিতর্কিতের স্থান হবে না। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন সেই দিন শেষ।
এদিকে আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালসহ অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘এক সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিলো অশান্ত। যেখানে চলতো রক্তের হলি। সেই অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছেন দক্ষিণাঞ্চলে রাজনৈতিক অভিভাবক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। এ কারনেই আজ পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির বাতাস বইছে।
আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত এবং বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আনিসুর রহমান ও জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম তোতা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডাভাকেট আফজালুল করিম, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মশিউর রহমান মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মুনসুর আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা কেবিএস আহমেদ কবির, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক মো, আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ।