পিরোজপুর
ইন্দুরকানিতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত নিহত, বিপুল পরিমান অস্ত্র উদ্ধার
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পত্তাশী বটতলা এলাকায় রবিবার (২৬ আগস্ট) রাত আড়াইটার দিকে পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদের বন্দুকযুদ্ধে জাকির হোসেন (৫৫) নামের ১১মামলার এক আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য নিহত হয়েছে। ডাকাত জাকিরের সহযোহগীদের গুলিতে ইন্দুরকানি থানার এএসআই শাহাদাত ও ডিবি পুলিশের সদস্য নাসির আহত হয়।
নিহত জাকির হোসেন পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার জোলাগাতি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ সালাম কবির জানান, জাকিরের বিরুদ্ধে পিরোজপুরের ইন্দুকানি ,বাগেরহাটের শরণখোলা ও ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া থানাসহ ১১টি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
পিরোজপুর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এ কে এম মিজানুল হক জানান, শুক্রবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে খুলনা নগরী থেকে পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও ইন্দুরকানি থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে। শনিবার রাতে পুলিশ জাকির হোসেনকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার তাঁর সহযোগী ডাকাতদের গ্রেপ্তারে বের হয়। রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার পত্তাশী বটতলা এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে জাকির হোসেনের সহযোগীরা করে গুলি করে। পুলিশও আত্মরক্ষায় ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এসময় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে জাকির হোসেন ও দুই পুলিশ গুলিবিদ্ধ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, তিনটি রাইফেলের গুলি, দুইটি বন্দুকের গুলি, ১২টি কার্তুজ, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি দা উদ্ধার করে। জাকির হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ ইন্দুরকানি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহাদাৎ হোসেন ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কনস্টেবল নাসির উদ্দিনকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য জাকিরের লাশ পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।