এক্সক্লুসিভ
এটি মানব ইতিহাসের প্রথম ঘটনা!
মানব ইতিহাসে এই প্রথম ঘটনাটা ঘটে গেলো। গত বুধবার বিশ্বের মানুষ ৫ কোটি আলোকবর্ষ দূরের কৃষ্ণগহ্বরের একটি ছবি দেখতে পেল। এই অভাবনীয় ছবিটি ইন্টারনেটে ছাড়ামাত্র ভাইরাল হয়ে যায়। এ ছবিটি তুলেছেন কেটি বোম্যান। মহাকাশবিদ্যা সংক্রান্ত ছবিটি পাওয়ার ক্ষেত্রে এই ২৯ বছর বয়সী নারীর অনেকটা অবদান রয়েছে।
বোম্যান মূলত ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ প্রজেক্টের একজন সদস্য। এই যুগান্তকারী ছবিটি নিজের কম্পিউটারে ধারণ করতে তিনি অসাধ্য সাধন করেছেন। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ক্যাপশনে তিনি এর কথা লিখেছেন।
বছর তিনেক আগে বিশ্বখ্যাত এমআইটি’র কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় তিনি এমন এক অ্যালগোরিদম বানিয়েছিলেন। আর এটাই মহাশূন্যের একটি কৃষ্ণগহ্বরের প্রথম ছবি তুলে ফেলতে সক্ষম হলো। এটা ছিল ছবি তৈরির কয়েকটি অ্যালগোরিদমের একটি যার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন রেডিও টেলিস্কোপ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ছবি সৃষ্টি করে।
আর এর ফলাফলটা হলো যেন কোনো ভিনগ্রহের কিছুটা ঘোলাটে একটা পীতাভ বাদামি রংয়ের রিং। এটা দেখতে কোনো রূপকথার ড্রাগনের চোখের মতো।
ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ টিম এক বিবৃতিতে জানায়, ছবিতে একটি উজ্জ্বল গোলাকার বলয়ের দেখা মিলেছে। এর অতি শক্তিশালী মাধ্যাকর্ষণ বলের মধ্য দিয়ে আলো ঠিকরে বেরিয়ে আসছে। এটা একটা কৃষ্ণগহ্বরের ছবি যা কিনা আমাদের সূর্যের চেয়ে ৬.৫ বিলিয়ন গুন বড়।
ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপের একজন জুনিয়র সদস্য বোম্যান। তবে এই প্রজেক্টে তার অবদান অনন্য বলে জানান মিটের হেইস্টাক অবজারভেটরির এক বিজ্ঞানী।
আরেক বিজ্ঞানী বলেন, বোম্যান এই ছবি সংগ্রহের প্রজেক্টের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফি জানায়, বিশ্বের অনেক পর্যবেক্ষক এই প্রজেক্টে কাজ করেছেন।
এদিকে বোম্যান বলেন, এই প্রজেক্টে আসার আগে তিনি কৃষ্ণগহ্বরের বিষয়ে জানতেন না। প্রায় ছয় বছর হয়েছে এ প্রজেক্টে কাজ করেন তিনি। আর গত বছরজুড়ে এ ছবিটি ঠিকঠাক মতো তৈরি করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এই ছবিটি বিশ্ববাসীকে দেখানো সত্যিকার অর্থেই এক অবিস্মরণীয় বিষয়।
বোম্যানের এই অর্জন সত্যিকার অর্থেই অভাবনীয়। তাকে সাধুবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন এক কংগ্রেস সদস্য। লিখেছেন, ইতিহাসে আপনার সঠিক আসনটি বেছে নিন ড. বোম্যান।
সূত্র: ডিএম/কাকন্ঠ