জাতীয়
ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস আজ, বরিশালে কর্মসূচি গ্রহণ
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। একাত্তরের এই দিনে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথ নিয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার। আর এর মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায় মুক্তিযুদ্ধ। ইতিহাস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন জনযুদ্ধ আর তথ্যযুদ্ধ উভয় ক্ষেত্রেই সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করে এই অস্থায়ী সরকার।
১৯৭১। স্বাধিকারের প্রশ্নে বাঙালির অবিরাম লড়াই। যে লড়াইকে স্তব্ধ করে দিতে ২৫শে মার্চ রাতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। বাঙালিরাও বসে থাকেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তবে, ন্যায়ের পক্ষের এই জনযুদ্ধের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রয়োজন ছিল। ঐতিহাসিক সেই প্রয়োজন থেকেই গঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিয়ে স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করে এই সরকার।
পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি, তার অবর্তমানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয় জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নাম। অস্থায়ী সেই সরকারের সাথে যুক্ত সাবেক এই আমলা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ভাষণের পরেই অনানুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে এই সরকার। মুজিব নগর সরকারের উপসচিব আকবর আলি খান বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিব নগরে সরকার উদ্বোধন করা হয়েছে ১৭ই এপ্রিল।
এর আগে আমাদের অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে যেগুলো পাকিস্তান সরকারের আইন অনুসারে আদৌ বৈধ ছিল না। আমরা আশা করেছিলাম নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সেই সরকারের ছত্রছায়ায় আমরা কাজ করব।’ মুক্তিযুদ্ধকালীন অন্তর্র্বতী এই সরকার নানা সংকটের মধ্য দিয়ে গেলেও, কৃতিত্বের সাথেই স্বাধীনতার সপক্ষে কূটনৈতিক তৎপরতা, আর্থিক সক্ষমতা অর্জন ও মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
এদিকে ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।
গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৬টায় নগরীর শহীদ সোহেল চত্বরস্থ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিকেল ৪টায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভা। কর্মসূচিতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীগনকে উপস্থিত থাকার জন্য বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস অনুরোধ জানিয়েছেন।