Scroll
কুয়াকাটায় চলছে শুঁটকি তৈরির কর্মযজ্ঞ
শুঁটকি তৈরির জন্য সবচেয়ে উপযোগী আবহাওয়ায় কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠেছে কুয়াকাটার কলাপাড়াসহ উপকূলীয় শুঁটকি পল্লীগুলো। কেমিকেল মুক্ত হওয়ায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রয়েছে এসব শুঁটকির দারুণ কদর।
সামুদ্রিক মাছের প্রাপ্তি সহজলভ্য হওয়ায় শুঁটকি তৈরিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে কুয়াকাটার অসংখ্য মানুষ। মাছ আহরণ থেকে শুরু করে শুঁটকি বাজারজাতকরণ পর্যন্ত চলে শ্রমিকদের কর্মযজ্ঞ।
জানা গেছে, সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করা হয়। সাগর থেকে আনা হয় রূপচাঁদা, ইলিশ, চিংড়ি, ছুরি, কুরাল, সুরমা, লইট্ট্যা, পোপাসহ প্রায় ২৫ প্রজাতির মাছ। এগুলো কোনো প্রকার ফরমালিন ও রাসায়নিক পদার্থের প্রয়োগ ছাড়াই চার থেকে ১২ দিন রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হয় হরেক রকমের শুঁটকি।
শুঁটকি উৎপাদনে স্থায়ী পল্লী নেই। তবুও প্রায় ৪৫ বছর ধরে চলছে সফল ব্যবসা। অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও পেশাটি মৌসুমি ব্যবসানির্ভর।
পর্যটকরা সৈকত দেখার পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন শুঁটকি। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়ায় বিদেশেও রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানান, এখানকার মানসম্মত শুঁটকি বিদেশে রফতানির বিষয়ে কাজ করছে মৎস্য বিভাগ।
শুঁটকি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে জেলেদের পাশাপাশি সরকারের আয় বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. লোকমান আলী।
জেলায় ৬টি শুঁটকি পল্লী রয়েছে, এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার জেলে।