পিরোজপুর
ক্লিনিকের মাইকিংয়ে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে ভান্ডারিয়াবাসী
ভান্ডারিয়ায় প্রশাসনের মৌখিক নিদের্শ উপেক্ষা করে চলছে উচ্চ শব্দে মাইকিং। আর বন্ধে সরকারি নিয়মানুযায়ী শব্দ ব্যবাহারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে পথচারিসহ বাজারের ব্যবসয়ী, আবাসিক বসাবাড়ির এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
একে চৈত্রের প্রভাব, তার উপর উচ্চ শব্দ-এ দুই মিলে মানুষের জীবন প্রায় ওষ্ঠাগত।
সম্প্রতি ব্যংয়ের ছাতার মতো গড়ে ওঠা কিছু বেসরকারি ক্লিনিকের পক্ষ থেকে “আর নয় ঢাকা, আর নয় বরিশাল, আর নয় ভারত, সব ধরণের চিকিৎসা অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা করা হয় এখন ভান্ডারিয়ায়’-এমন শ্লোগানে (বড় বড় ডিগ্রির নাম ব্যবহার করে) চলছে অবাধ মাইকিং।
আজ শুক্রবার দুপুরে ভান্ডারিয়া বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বাচ্চু জানান, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এবং পিছনে রয়েছে দুইটি মাইকের দোকান। তাদের উচ্চ শব্দে মাইকিংয়ের কারনে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পরেন প্রায়ই।
পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বাচ্চু মিয়া, শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় বিভিন্ন মত। তারা জানান, এত উচ্চ শব্দে মাইকিংয়ের কারণে তারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
পৌর শহরের মধ্যে উত্তর দিকে দুটি কেজি স্কুল, প্রায় ১০টির মত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে ত্রাহি ত্রাহি ভাব। মাইকংয়ের হাত থেকে পরিত্রাণ চায় তারাও।
বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান দিলু আকন জানান, মাইকিঙয়ের শব্দে রাতে তার বাসার বাচ্চাদের পড়াশুনারও ক্ষতি হচ্ছে।
সরকারি নিয়মে ৪০ ডেসিবল পর্যন্ত মানুষের শ্রবনের ধারণ ক্ষমতা থাকে। এর চেয়ে বেশি (৪৫/৫০ডেসিবল) শব্দ ব্যবহারে ক্ষতির পরিমান কম হলেও সেটা নিয়ন্ত্রনের মধ্যে থাকে। যদি ৬০/৭০/৮০ ডেসিবল হয় তখন ষিয়টি মারাত্মক ক্ষতিকর।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলম জানান, এই সমস্যা শুধু আইন দিয়ে ঠেকানো সম্ভব না। যদি আমরা প্রত্যেকে যার যার অবস্থানে সচেতন না হই তবেই সমস্যার সমাধান আসতে পারে।