বরগুনা
জেপির নির্বাচন করতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন খলিলুর
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (বরগুনা সদর- আমতলী-তালতলী) আসনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) থেকে নির্বাচন করতে চান তালতলী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো: খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, এক সময় এই এলাকা জাতীয় পার্টির দূর্গ হিসেবে পরিচিত ছিলো। কিন্তু গত দুটি নির্বাচনে মহাজোটের হয়ে নির্বাচন করার কারণে জাতীয় পার্টি অনেকটা পিছিয়ে। তাই পুরানো জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে এ আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে নিতে চান তিনি।
২০০১ সালের নির্বাচনে এ আসনের একটি অংশে (আমতলী-তালতলী) তৎকালীন বরগুনা-৩ আসনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে জাতীয় পার্টির হয়ে প্রতিদ¦ন্দিতা করে পরাজিত হন মো: মতিয়ার রহমান তালুকদার। ওই সময় বিএনপি সরকার ক্ষমতায় গেলে পরবর্তীতে উপনির্বাচনে মতিয়ার রহমান তালুকদার বিএনপিতে যোগ দিয়ে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। এর আগে তৎকালীন বরগুনা-১ (বরগুনা সদর-বেতাগী) আসনে প্রয়াত জাফরুল হাসান ফরহাদ এবং বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসনে মো: মতিয়ার রহমান তালুকদার জাতীয় পার্টির হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
কিন্তু ২০০৮ সালে বরগুনার ৩টি আসন ভেঙ্গে দুটি আসনে রূপান্তরিত করার পর বরগুনা-১ আসনে মহাজোটের হয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করে আসছে। যার ফলে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম বর্তমানে অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের দাবি এ আসনে মহাজোটের অধীনে তাদের প্রার্থী দেয়া হলে হারিয়ে যাওয়া আসনটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মনে করেন, বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের যে দলীয় কোন্দল রয়েছে, তা নিরসন না হলে তাদের প্রার্থী জয়লাভ করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরবে।
তাই এ আসনে জাতীয় পার্টির মধ্যে আওয়ামী লীগের তুলনায় দলীয় কোন্দল অনেকটা কম। সেক্ষেত্রে এ আসনে মহাজোটের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হলে জয়লাভ করা সম্ভব হবে। তালতলী উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি মো: আল-আমীন বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির ওপরে সাধারণ মানুষের আস্থা কমে গেছে। তাই জাতীয় পার্টিকে এ আসনে মনোনয়ন দিলে জয়লাভ করা খুবই সহজ হবে। তিনি আরও বলেন, খলিলুর রহমান একজন সৎ এবং ভালো মানুষ হিসেবে এলাকায় তাঁর ব্যাপক পরিচিতি আছে।
তাই তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি অবশ্যই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে পল্লী বন্ধু হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদকে এ আসনটি উপহার দিতে পারবেন। মো: খলিলুর রহমান বলেন, ২০০৯ সালে যখন আমতলী-তালতলী দুই উপজেলা নিয়ে একটি উপজেলা ছিলো, তখন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রায় ৪০ হাজার ভোট পেয়েছি। পরবর্তীতে সাধারণ মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে তালতলী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে।
আমার প্রতি মানুষের ভালবাসা রয়েছে। তাই আমাকে মনোনয়ন দেয়া হলে আশাকরি বরগুনা-১ আসনের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে একটি বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। কারণ এমপিরা স্বপদে বহাল থেকে নির্বাচন করতে পারবেন অথচ স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের পদত্যাগ করে নির্বাচন করতে হবে। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে এ বৈষম্য দূর করার দাবি জানান।