Scroll
ঝালকাঠির ৩৬ গ্রামে সবজি বিপ্লব
ঝালকাঠি সদর উপজেলার ৩৬ গ্রামে সবজি চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন নারীরা। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে ১২ মাসই সবজির চাষ হয়। এখানে শুধুমাত্র নারীরাই মাঠে চাষবাস করেন। পুরুষরা তাদের সাথে সহায়তা করেন। এসব এলাকার ৫ হাজার পরিবার এখন সবজি চাষ করে তাদের জীবিকা চালায়। কৃষিবিভাগ নারীদের এই সবজি চাষে উৎসাহ দেয়ার জন্য কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম, বিনয়কাঠি, কৃত্তিপাশা ও গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামসহ উপজেলার ৩৬টি গ্রামে সবজি চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন এখানকার নারীরা। উপজেলার ৩৬টি গ্রামে প্রায় সকলেই সবজি চাষে জড়িত থাকলেও এ চারটি ইউনিয়নে শুধু নারীরাই সবজি ক্ষেতে কাজ করেন। পুরুষরা শুধু তাদের সহয়তা করেন। এখানকার সবজি ক্ষেতগুলো এখন ফুলকপি-বাঁধাকপি, মুলা, লাউ, আলু, শিম, বরবটি, ক্ষীরা, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো, শালগম, লাল শাক পালং শাকসহ শীতের নানা সবজিতে ভরপুর।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে সদর উপজেলায় রবি মৌসুমে ৩ হাজার একশ হেক্টর জমিতে এবং গ্রীষ্মকালীন সময় এক হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়ে থাকে। রবি মৌসুমে ৪৩ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন এবং গ্রীষ্মকালীন সময় ১৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন হয় হয়। যা দিয়ে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। দিন রাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পান না লাভের বড় অংশই যায় মধ্যস্বত্বভোগী দালালদের পকেটে বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিফাত সিকদার জানান, কৃষি বিভাগ থেকে সবজি চাষে কৃষকদের কারিগরি সবধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হয়।