টানা পাঁচ কার্যদিবসে দরপতন

টানা দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এ নিয়ে টানা পাঁচ কার্যদিবস দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।

টানা দরপতন হলেও এদিন ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১২৮টি প্রতিষ্ঠান। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৪২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৮৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৮৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসেবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে ৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

টাকার অংকে এদিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেএমআই সিরিঞ্জের শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ১৫ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেঘনা লাইফের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার। ১৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মা।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- এসকে ট্রিমস, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, আলহাজ টেক্সটাইল, ওয়াটা কেমিক্যাল, সোনালী আঁশ, অ্যাডভেন্ট ফার্মা এবং এমএল ডাইং।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ২ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৭৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন হওয়া ২৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৬টির। বিপরীতে দাম কমেছে ৯২টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির দাম।