জাতীয়
দক্ষিণাঞ্চলে বাড়তে পারে গরম, আসতে পারে শিলা বৃষ্টি
চৈত্রের শেষে কালবৈশাখীর দাপটের সঙ্গে ঝড় ও শিলা বৃষ্টির কারণে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে অস্বস্তিকর ভ্যাপসা গরম। আগামী সপ্তাহে যা আরো বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনার অনেক এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান বলেন,আগামী সপ্তাহে বেশি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এপ্রিল মাসের শেষ দিকে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ১০ থেকে ১২ মে’র মধ্যে কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা আছে, এ ছাড়া সাগরে নিম্নচাপেরও শঙ্কা রয়েছে ।
এপ্রিল থেকে মে মাসের উষ্ণ আবহাওয়ায় কালবৈশাখী, বজ্রঝড়ের অনুকূল পরিবেশ থাকে। বিশেষ করে উত্তর-উত্তর পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে কালবৈশাখীর দাপট বেশি হয়।
থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অফিস।
কালবৈশাখীর মৌসুমে বজ্রঝড় বেশি হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে দুই থেকে তিন শ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
আবহাওয়াবিদদের মতে এপ্রিলের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে চলতি মাসের শেষের দিকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে একটি নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ।