আর্ন্তজাতিক
দুর্গা পূজার ইউনেস্কোর স্বীকৃতির দাবী
বাংলাদেশ এবং ভারতে জাঁকজমকের সাথে উদযাপিত হয় দুর্গা পূজা। গোটা বিশ্বে এই প্রাচীন ধর্মীয় উৎসবের মূলকেন্দ্রটি কলকাতা। গোটা বিশ্বের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইউনেস্কোর ২০২০ সালের তালিকায় স্বীকৃতি পেতে ভারতের অফিসিয়াল মনোনয়ন পেয়েছে দুর্গা পূজা। দেশটির ইউনিয়ন মিনিস্ট্রি অব কালচারের ‘সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি’ ইতোমধ্যে তাদের ওয়েসাইট সাজানোর ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক আয়োজনগুলোকে টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চালায় ‘ইউনেস্কো রিপ্রেজেনন্টিটিভ লিস্ট ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ’। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেতে তালিকায় দুর্গা পূজার প্রবেশ সংস্কৃতির বৈশ্বিক অঙ্গনে বাঙালিদের অবস্থানকে সুউচ্চে নিয়ে যাবে।
ইউনেস্কোর মনোনয়নের জন্য দুর্গা পূজার ইতিহাস তুলে ধরা, আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট এবং এর সার্বজনীনতা তুলে ধরার কাজটি করেছেন কলকাতার সমাজ বিজ্ঞানের প্রফেসর তপতী গুহ ঠাকুরতা। তিনি এবং তার দলের প্রস্তুতকৃত বিস্তারিত ফাইলটি পেশ করা হয় ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে। পরবর্তিতে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেতে আবেদনসহ অন্যান্য নিয়ম পালন করা হবে।
সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, ধর্ম ও শিল্প নিয়ে মানুষের উৎসবের সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত দুর্গা পূজা। হস্তশিল্পী, বিভিন্ন সংস্কৃতি-গোত্র থেকে শুরু করে অন্যান্য সমাজেও এ পূজার উদযাপন চোখে পড়ার মতো। ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিবর্তিত স্বাদ ও জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক আয়োজনের অনন্য মিশ্রণ ঘটে এই পূজায়।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্তমর্তারা জানান, রেড রোডে দুর্গা পূজার কার্নিভাল কলকাতাকে রীতিমতো বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছে।
গুহ ঠাকুরতা আরো বলেন, এই উৎসব ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটিকে ধারণ করেছে। পর্যটন, প্রদর্শনী এবং বিনোদনের অনন্য উপস্থাপন এই পূজা।
ভারতের আরো কিছু স্থান ইউনেস্কোর প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। তাজ মহল, গোয়ার চার্চ ও সন্ন্যাসীদের আশ্রম, সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ, দিল্লির হুমায়ুনের সমাধি এবং দার্জিলিংয়ের হিমালয় রেলপথ এ তালিকায় রয়েছে।
সূত্র: ডিএম/কাকন্ঠ