Scroll
পৌরসভা নির্বাচন
নলছিটিতে আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি হামলা, উত্তপ্ত শহর
ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের একটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তালতলা রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শহর। একই দিন বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী জিবা আমিনা খান ও সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কে এম মাছুদ খানের প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীর কর্মীসমর্থকদের বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী আবদুল ওয়াহেদ খান অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষে কর্মীরা বাড়ি ফিরে গেলে গভীর রাতে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তালতলা রাস্তার মোড়ের একটি নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেয় প্রতিপক্ষরা। আগুনে কার্যালয়টি আবসাবপত্র পুড়ে গেছে।
এদিকে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (সতন্ত্র) মেয়র প্রার্থী কে এম মাছুদ খানকে এলাকায় প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থীর কর্মীসমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বহিরাগত লোকজন নিয়ে মাছুদ খানের গাড়ির বহরে হামলার চেষ্টা চালায়। এসময় র্যাব ও পুলিশের সহযোগিতায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাহারা দিয়ে তাকে শহরের আমানবাগ এলাকার বাসায় পৌঁছে দেয়। তবে বহরে অংশ নেওয়ায় মো. নুরু নামে এক কর্মীকে মারধর করে তাঁর মোটরসাইকেল ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই দিন বিকেল থেকেই মাছুদ খানের আসার খবর শুনে আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী আবদুল ওয়াহেদ খানের কর্মীসমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে শহরে মহরা দেয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশে মঙ্গলবার প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে মাছুদ খান প্রচারণায় অংশ নিতে নলছিটি আসেন।
অপরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিবা আমিনা খানকে নলছিটিতে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে যুবলীগ ও ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় বাধা দেয়। ফলে গাড়ি নিয়ে তাকে বাড়িতে ফিরে যেতে হয়েছে। নলছিটি পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. মজিবুর রহমানের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন তিনি। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত তিনি। আগামী ৩০ জানুয়ারি নলছিটি পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জিবা আমিনা খান বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমার গাড়িবহরে হামলা চালালে বিসিক শিল্পনগরি এলাকা থেকে আমি বাড়িতে ফিরে আসি। আমাদের কোন নিরাপত্তা নেই। আমি প্রচারণায় অংশ নিতে পারিনি, এটা খুবই দুঃখজনক। আমার জন্য নেতাকর্মীরা নলছিটিতে অপেক্ষা করছিলেন। এ অবস্থায় কোনভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী কে এম মাছুদ খান বলেন, আমি এলাকায় ফিরতে পথে পথে বাধার সম্মুখিন হয়েছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমিও কাফনের কাপড় পড়ে প্রচারণায় অংশ নেবো। নির্বাচনে নেমেছে, যত বাধা আসুক মাঠে থাকবোই।