পটুয়াখালী
‘নির্বাচনকে অশান্ত ও রক্তাক্ত করে তুলেছে আওয়ামী লীগ’
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী মাঠকে অশান্ত ও রক্তাক্ত করে তুলেছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় পটুয়াখালীর নিজ বাসভবন সুরাইয়া ভিলায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন। পটুয়াখালী-১ আসনে আওয়ামী লীগের হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মতো পটুয়াখালীতে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও আইনশৃংখলা বাহিনী যৌথভাবে ধানের শীষের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর বেপরোয়া হামলা চালিয়ে প্রচার-প্রচারণায় বাধা, এলাকা ছাড়ার হুমকি ও গ্রেফতারসহ নানামুখী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। নির্বাচনকে অশান্ত ও রক্তাক্ত করে তুলেছে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম মেম্বরের বাড়ি ও ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর মিন্টুর বাড়িতে ২৫-৩০ জনের সন্ত্রাসী দল হামলা করে আসবাবপত্র ভাংচুর, লুটপাট ও ধানের পালায় আগুন দেয়। এ সময় তারাখুন-জখমের ভয় দেখায় এবং নগদ দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। প্রায় একই সময় সন্ত্রাসীরা পশারবুনিয়া গ্রামে ছাত্রদল নেতা আকাশ, বিএনপি নেতা সানু মোল্লার বাড়িতেও ভাংচুর করে।
এ ছাড়া সন্ত্রাসীরা লাউকাঠি ইউনিয়নে জয়নাল গাজী, ইলিয়াস জোমাদ্দার, খোকন ডাক্তার, বশার জোমাদ্দার ও হেলাল মৃধা, কালিকাপুরে শফি উদ্দিন মৃধার বাড়িতে হামলা করে মহিলাদের গালিগালাজ ও ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি দেয়। মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা তসলিম মাদবরের বাসাবাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। রাতে আনুমানিক ১টার সময় ২০-২৫টি মটরসাইকেলে সন্ত্রাসীরা আমার বাসার গেট ভাংচুরের চেষ্টা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তাণ্ডব সৃষ্টি করে। পরে তারা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. ইউনুচ আলী মোল্লা, জেলা বিএনপির ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আ. লতিফ তালুকদারের বাসা, সদর থানা মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা সীমার বাসায় হামলা করে জানালা-দরজা ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীরা মরিচবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান টিটুর ফরচুন ক্লিনিকের সাইনবোর্ড ভাংচুর করে।
তিনি আরও বলেন, পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি থানার তিনটি মিথ্যা মামলায় শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে এবং প্রতি রাতে সাদা পোষাকে পুলিশ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এ তিন উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীর প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে নির্বাচন কেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি ও গ্রেফতার নামে তল্লাশি এবং খুন জখমের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ধানের শীষের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাড. ওয়াহিদ সরোয়ার কালাম, য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মজিবুর রহমান টোটন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. ইউনুচ আলী মোল্লা, প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্রকাশনা সম্পাদক শরীফ মো. সালাহউদ্দিন, কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান আনিছ প্রমুখ।