পিরোজপুর
পিরোজপুরে হাতির চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট এলাকাবাসী
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পথচারী ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা। হাতি দিয়ে গাড়ি থামিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। এই টাকা আদায়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকার মানুষ।
ইন্দুরকানীর বিভিন্ন হাট বাজার ও গ্রামে ঢুকে হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চলছে এ চাঁদাবাজি। হাতি দিয়ে রাস্তাঘাটে যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে দাঁড় করিয়ে টাকা আদায়ের কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। হাতি শুঁড় দিয়ে মানুষ ও যানবাহন থামানোর কারণে ভুক্তভোগীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। গত মঙ্গলবার, বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার ইন্দুরকানী, ঘোষেরহাট, বালিপাড়া ও চন্ডিপুর হাটসহ ইন্দুরকানী-কলারণ সড়কে ৩ দিন যাবত হাতি দিয়ে চাঁদাবজির এ দৃশ্য সবার নজরে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বড় আকৃতির একটি হাতি। পিঠে বসে আছে ৩০ বছর বয়সের এক যুবক। যিনি হাতির মালিক। পিচ ঢালা রাস্তায় চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি মালিককে পিঠে নিয়ে হেলে দুলে রাস্তার একপাশ দিয়ে চলছে হাতি। রাস্তার পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে সুঁড় উঁচু করে জানাচ্ছে সালাম। এ ছাড়া হাতি রাস্তায় যানবাহন থামিয়ে দেওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হন সাধারণ মানুষ।
পথচারি জাহিদ জানান, হাতিকে ১০ টাকা করে দিতে হবে, কারণ হাতি শুঁড় দিয়ে চেপে ধরছে। ১০ টাকার কম দিলে তা গ্রহণ করছে না। ১০ টাকা দিলে হাতিটি পিঠে বসে থাকা মালিককে শুঁড় উঁচিয়ে টাকা দিয়ে দেয়।
বালিপাড়া বাজারের দোকানদার মোস্তাফিজ জানান, হাতি দোকানের সামনে এসে দাঁড়ালে ক্রেতারা ভয়ে দোকানে ঢুকতে সাহস পান না। বিড়ম্বনা এড়াতে দোকান মালিকরা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে দেয়। যাতে হাতি তাড়াতাড়ি দোকানের সামনে থেকে চলে যায়। অপরদিকে সড়কে চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও টাকা আদায় করছে হাতি।
আর এর উদ্দেশ্য একটাই। তা হলো টাকা নেওয়া। আর টাকা পেলেই তা ধরিয়ে দিচ্ছে পিঠে বসা মালিকককে। এভাবেই দোকানে দোকানে সালাম দিয়ে আদায় করছে টাকা। দোকান মালিকদের কেউ ১০ টাকার কম দিলে ওই টাকা না নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে হাতি।
১০ টাকা দেওয়ার পর শুঁড় দিয়ে ওই টাকা নিয়ে তার পিঠে বসা মালিককে ধরিয়ে দিয়ে। সেখান থেকে আরেক দোকানে গিয়ে একইভাবে টাকা আদায় করছে।
এভাবে প্রতিদিন একটি হাতি প্রায় ২/৩ হাজার টাকা আয় করে। এটা একটা ঠান্ডা মাথার চাঁদাবাজি বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ অনেকে।