রাজনীতি
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ইসিতে যাচ্ছে না ঐক্যফ্রন্ট
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘গতকাল আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। আজকে জানতে পারলাম তিনি আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সংলাপে বসার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমরা এ বিষয়টিকে স্বাগত জানাই।’
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথা ছিল। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী সংলাপের জন্য সাড়া দিয়েছেন তাই আমরা এ মুহূর্তে কমিশনে যাচ্ছি না। কারণ সংলাপে তো নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হবে।’
সোমবার সন্ধ্যায় মতিঝিলে মওদুদ আহমদের নিজ কার্যালয়ে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
মওদুদ আহমদ বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের এখনও কবে ও কোথায় সংলাপ হবে তা জানানো হয়নি। এগুলো জানলে আপনাদের জানাবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি কালকেই আমাদের সংলাপের জন্য ডাকে, আমরা অবশ্যই তার ডাকে সাড়া দেবো। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে তো আর অসম্মান করা যায় না।’
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার বিষয়ে মওদুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে আজকের রায় দেয়া হয়েছে। যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, সরকার খালেদা জিয়ার জামিনের সব বাধা দূর করে তাকে মুক্তি দেবে। এ মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের প্রসঙ্গে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি মন্ত্রীদের মদদে পরিবহন ধর্মঘটের নামে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তাদের যে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, মোস্তফা মনসুর মন্টু প্রমুখ।