বরগুনা
বরগুনায় চলছে হালখতার প্রস্তুতি
আর তিন দিন পর বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ । পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের হালখাতাখুলতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বরগুনার ৬টি উপজেলা সদরসহ উপকূলের ব্যবসায়ীরা । ইতোমধ্যে ক্রেতাদের কাছে পৌছে গেছে নিমন্ত্রণপত্র।
আর ক্রেতারা ও প্রস্তুতি নিচ্ছে খাতা থেকে নাম বাদ দিয়ে হালখাতয় অংশ নিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিকাংশ ছোট বড় ব্যবসায়ী পুরাতন আবর্জনাকে ঝেরে ফেলে নতুন করে সাজিয়ে তুলছে দোকান। পাশাপাশি পুরাতন খাতার ক্রেতারসাথে দেখা হলে চলছে হাসিমুখে কুশল বিনিময় সাথে হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে আসন্ন হালখাতার নিমন্ত্রণপত্র। যদি ও নিমন্ত্রণপত্রের এক কোনায় লেখা থাকে বকেয়া টাকার পরিমান ।
ক্রেতাদের ও একান্ত ভাবনা হালখাতায় অংশ নিতেই হবে। হাজার বছর ধরে বাঙলির ঐতিহ্য ব্যবসায়ীরা ও দোকানকে ওই দিন সাজিয়ে তুলে রঙিন কাগজ আর আলোকসজ্জায় । আমন্ত্রিতদের বসার জন্য আলাদা স্থান রাখা হয় ।
মিষ্টিমুখ করার জন্য থাকে ব্যাপক আয়োজন। সাউন্ড বক্সে বাজতে থাকে বৈশাখীসহ গ্রামবাংলার গান আনন্দমুখর পরিবেশে ক্রেতারা সাধ্যমত বকেয়ে পরিশোধ করে
নিজের নাম লিখিয়ে যান । সেই ঐতিহ্যবাহী হালখাতার প্রস্তুিিততে এখন ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা । আমতলী নুতন বাজারে মুদিমনোহরী ব্যবসায়ী মো. আলমগীর নামক এক ব্যবসায়ী জানান অনেক ক্রেতা রয়েছে যারা সারা বছর নগদ বকেয়ার লেনদেন করেন । বছর শেষে হালখাতা অনুষ্ঠানে পুরাতন সকল বকেয়া শোধ করেন । হালখাতা তোলা হয় তাদরে নাম । আবার নতুন করে শুরু হয় ব্যবসায়ীক লেনদেন।
হালখাতায় আমন্ত্রিত ক্রেতা কবির দেওয়ান জানান পুরাতন খাতা থেকে নাম কেটে হালখাতায় নাম তোলার মধ্যে এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি রয়েছে । তবে অনেক সময় সাধ্য ও স্বাদকে হার মানায়। সব মিলিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে চলছে আসন্ন হালখাতায় নিয়ে নানা জল্পনা -কল্পনা এবং হিসাব নিকাশ।