বরগুনা
বরগুনায় জমজমাট শেষ চৈত্রের বাজার
বাংলা নববর্ষ দরজায় কড়া নাড়ছে। তাই পুরাতন বছরকে বিদায় জানাতে আর নতুন বর্ষকে বরণে বরগুনায় জমে উঠেছে বৈশাখী বাজার। ক্রেতাদের ভিড়ে দম ফেলার ফুসরত নেই বিক্রেতাদের। তাই বাজারের বিপনীবিতানগুলো যেন নতুন করে ফিরে পেয়েছে প্রাণচাঞ্চল্যতা।
বৈশাখ মানে আনন্দ, বৈশাখ মানেই উৎসব। জাতি, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে সব মানুষই মেতে উঠবে বৈশাখী উৎসবে। আর এ উৎসবে মেতে উঠতে সবারই চাই নতুন পোশাক। তাই পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে বাংলার আবহে তৈরী ফতুয়া, পাঞ্জাবি, ফ্রিপিস, শাড়ি ও লুঙ্গিসহ বিভিন্ন পোষাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। অবার অনেক দোকানী দোকানের সামনে কিংবা ফুটপাতে বসিয়েছেন বাহারী রংয়ের পোষাক।
জেলার ৬টি উপজেলার পাঁচসহাস্রাধীক দোকানসহ গ্রামগঞ্জের সব পোশাকের দোকান এবং পৌর শহরগুলির দোকানগুলোতে বিক্রির ধুম। অনেক দোকানী দিয়েছেন বড় আকারের মূল্যহ্রাস। তাই এই মূল্যহ্রাসে প্রত্যেক ক্রেতা নিজের পছন্দের পোষাকটি কিনে নিতে ব্যস্ত। শিশু, বৃদ্ধ, কিশোর সবাই ব্যস্ত কেনাকাটায়। তবে সব বিপনী বিতানগুলোতেই নারী ক্রেতাদের ভীড় একটু বেশী। আর এ ক্রেতাদের ভিড়ে আমতলীতে জমে উঠেছে বৈশাখী বাজার।
এদিকে বৈশাখী ছাপ পড়েছে মাছ বাজার থেকে শুরু করে কাচা বাজারেও। বৈশাখে ইলিশের কদর একটু বেশী। বছরের পুরো সময় ইলিশের দাম স্বাভাবিক থাকলেও বৈশাখী হাওয়ায় হু-হু করে বেড়ে দাড়ায় দ্বিগুন। বাজারে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকায়। কাচা বাজারেও বেড়েছে বিভিন্ন সবজির দাম।
আমতলী পৌর শহরের ব্যবসায়ী মাতৃছায়া ব¯্র বিতানের মালিক জি এম মুসা বলেন, বৈশাখকে কেন্দ্র করে বেচা-বিক্রি ভাল। হলদিয়া থেকে স্ব-পরিবারে আসা ক্রেতা পারভেজ মিয়া বলেন, পোশাকের দাম হাতের নাগালে। তাই পরিবারে সবাই মিলে কেনাকাটা করছি। বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন মুঠোফোনে জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দোকান পাঠসহ জেলার ৬ টি উপজেলার সকল স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে ।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. কবীর মাহমুদ মুঠোফোনে জানান, পহেলা বৈশাখ বাঙালিদের একটি চিরাচায়িত প্রাচীন। নতুন প্রজন্মের কাছে এর তুলে ধরার জন্য এ উৎসবকে রাঙিয়ে তুলতে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।