আইন-আদালত
বাবুগঞ্জে ছাত্রী ধর্ষণের দায়ে যুবকের ৪৮ বছরের দণ্ড
বাবুগঞ্জে দশম শ্রেনীর ছাত্রী অপহরন ও ধর্ষনের দায়ে এক যুবককে পৃথক ধারায় ৪৮ বছর কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। ২৩ অক্টোবর মঙ্গলবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামীর অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দন্ডিত মনির হোসেন বাবুগঞ্জের রাকুদিয়া গ্রামের মৃত নাজেম আলী ফকিরের ছেলে।
বেঞ্চ সহকারী অজিবর রহমান মামলার বরাত দিয়ে জানান, ২০০৯ সালের ৪ জুন রাকুদিয়া গ্রামের এক দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে গ্রামের আব্দুল মান্নান হাজির বাড়ির সামনে হতে অপহরন করে নেয় মনির।এসময় ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তার হুশ ফিরলে একটি বন্ধ ঘরে আটকে রেখে মনির তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
পরেরদিন ছাত্রীকে নিয়ে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে নগরীর নথুল্লাবাদ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় যায়।সেখানে ছাত্রীর বাবাকে দেখে ধর্ষিতাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় মনির।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে একই বছরের ৯ জুন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে। ট্রাইব্যুনাল বাবুগঞ্জ থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার হিসেবে রুজু করার আদেশ দিলে ১০জুন থানা পুলিশ মামলার এজহার করেন।থানার এসআই আব্দুল মজিদ হাওলাদার একই বছরের ১৩ আগষ্ট তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে একমাত্র মনিরকে অভিযুক্ত দেখিয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়।
বিচারক ১০ জনের মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় দেন।সাক্ষী প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হলে মনিরকে অপহরনের দায়ে ১৪ বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদন্ড এবং ধর্ষনের দায়ে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদন্ড মোট ৪৮ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের সময় পলাতক থাকায় আসামী মনিরের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ও গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়।