Scroll
বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে বলে মনে করে টিআইবি
বিদেশে বাংলাদেশীদের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। জাতিসংঘের বাণিজ্য বিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড এমন তথ্য দিলেও বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে অনুমোদিত বিনিয়োগের পরিমাণ চারশ’ কোটির কম। বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে বলে মনে করে টিআইবি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ এ অর্থের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তৎপর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশেই কর্মসংস্থান ও দারিদ্র বিমোচনে প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন। বিদেশি বিনিয়োগ আনতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার দৌড়ঝাঁপও কম নয়। তারপরও বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার দিক থেকে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেনা বাংলাদেশ, গেলবছর ১৬০ কোটি ডলারের মত বিনিয়োগ এসেছে।
আর মোট বিদেশি বিনিয়োগের স্থিতি সাড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলারের মত। এই যখন অবস্থা তখন জাতিসংঘের বেসরকারি বাণিজ্য বিষয়ক সংস্থা আঙকাডের ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট ২০২০ বলছে বাংলাদেশিদের বিদেশে বিনিয়োগের পরিমাণও কম নয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তা ১৬২ কোটি ৩০ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। গত দশ বছরে বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে অনুমোদিত বিনিয়োগ পাঁচ কোটি ডলারের কম।
বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, ১০ টি কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বিদেশে লিয়াজো অফিস পরিচালনা, রপ্তানি বৃদ্ধিতে খরচ করতে বিনিয়োগ করেছে। যার পরিমাণ দেখা যাচ্ছে ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৮৫ হাজার ডলার। এর বাইরে টাকা কিভাবে গেছে তা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবেনা।
এর আগের সপ্তাহে সুইস ব্যাংকের প্রতিবেদনে জানা যায়, সেদেশের ব্যাংকগুলোতে জমানো বাংলাদেশীদের টাকার পরিমাণ ৫ হাজার ৪ কোটির ওপরে। এর বাইরেও জিএফআইসহ বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থের জানান দিয়েছে। আঙ্কটাডের প্রতিবেদন তেমন আরেকটি পরিসংখ্যান তুলে ধরলো বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। আর সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ তাগিদ দিচ্ছেন পাচার হওয়া অর্থের গন্তব্য জানার।
প্রতিবছরের বিভিন্ন সময়ে দেশী বিদেশী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের রিপোর্টে সুনির্দিষ্ট অর্থপাচারের ক্রমবর্ধমান তথ্য উঠে আসছে। তাই এনবিআরয়ের গোয়েন্দা সংস্থা বা বিএফআইইউ এর মত প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখছে সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে!