বরগুনা
বেবি স্লিপ এনাদার নভেম্বার ইজ কামিং
বরগুনার আমতলীসহ উপকূলীয় এলাকায় বিরাজ করছে সামুদ্রিক ঝড়ের আতংক। নভেম্বরে মাসে ঘূর্নিঝড় আতংকে উপকূলীয় মানুষরা আতংকিত ও চিন্তিত। উপকূলীয় এলাকায় সিডর, আইলা, লাইলা, বিজলী, নার্গিস সহ উপরির চরের ভয়াবহ ঘূর্নি ঝড়ের আতংকে তারা আতংকিত।
এলাকার প্রবীন লোকেরা এ নভেম্বারে ভয়াবহ ঘূর্নিঝড়ের আশংকা করছেন। প্রযুক্তির উন্নয়নে ঘূর্নিঝড়ের পূর্বাভাস আগ থেকে পাওয়া গেলে ও আতংক কমছেনা উপকূল বাসীর। তথ্যঅনুসন্ধানে জানা গেছে গত ৪শ বছরে উপকূল এলাকায় বড় বড় ঘূর্নিঝড় গুলি সংগঠিত হয়েছে নভেম্বরে। চট্রগ্রাম বন্দর যখন পর্তুগীজদের দখলে তখন উপকূলের অভিশাপ ছিল ঘূর্নিঝড়।
প্রায়ই অক্টোবার মাসে/নভেম্বর মাসে ঘূর্নিঝড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যেত সেখানকার জনপথ। পর্তুগিজ মায়েরা শিশুদের ঘুম পড়ানোর জন্য বলতো’ বেবি স্লিপ এনাদার নভেম্বার ইজ কামিং। ইতিহাস সূত্রে জানা গেছে গত সাড়ে ৪শ বছরে বর্তমান বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলেতে ঘূর্নিঝড়ে মারা গেছে ১৬ লাখ মানুষ। বেশির ভাগ ঘূর্নিঝড় সংঘটিত হয়েছে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরে ঘটে যাওয়া ঘূর্নিঝড়ে ২৫ লক্ষাধিক ঘড় বাড়ী ১৫ লক্ষাধিক গবাদীপশু ও অন্যান্য সম্পাদ ধ্বংস হয়েছে।
কেবল ১৯৭০ সালে ভয়াবহ ঘূর্নিঝড়ে বাংলাদেশে এক সংঙ্গে ৫ লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। ঔ সময় মূল্যবান বন্যপ্রাণী উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান ডুবেছে লাখের ও ওপরে। সূত্রে জানা যায় ১৫৮২,১৯৯১,১৯৮৮ সালের ঘূর্নিঝড়ে ৪ লাখ মানুষ ও দেড় লাখ গবাদীপশু ও লক্ষাধীক অন্যান্য প্রাণী মারা যায়। ১৮২২, ১৯৬১, ১৯৬৩, ১৯৬৪, ১৯৬৫, ১৯৬৬ সালের ঘূর্নিঝড়ে ৬৭১৯১ জন মারা যায়। ১৫৮৪ সালে ৫০ হাজার মানুষ মরা যায় ।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় বেশির ভাগ ঘূর্নিঝড় সংগঠিত হয়েছে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে এ বিচারে বিশেজ্ঞরা বলেন তখন উপকূলীয় এলাকা গুলো অরক্ষিত থাকলেও এখন কিছুটা রক্ষিত।তারপর ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা স্বয়ং সম্পূর্ন নই।
উপকূলীয় অঞ্চলের জানমানের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারের বিশেষ ভূমিকা দরকার। দুর্যোগ মোকাবেলায় আরো পদক্ষেপ না নেয়া গেলে ৯১ সালের মত মাশুল গুণতে হবে। এ ভয়াবহ বিপর্যস্ত তা থেকে এড়াতে হলে বেশি প্রয়োজন জনসচেতনতা। সরকারের উচিত জনসচেতনতার জন্য এগিয়ে আসা।