পিরোজপুর
ভান্ডরিয়ায় বর্ষবরণে চলছে নানা প্রস্তুুতি
এসো হে বৈশাখ এস হে, ভান্ডরিয়ায় সারা দেশের ন্যায় বাংলা ১৪২৫কে বিদায় জানিয়ে আগামী ১৪ই এপ্রিল বর্ণাঢ্য আয়জনে বরণ করা হবে নতুন বছর ১৪২৬বাংলা বছরকে। এ দিনটিতে অতীতের সব দুঃখ,জড়া,মান অভিমান, জাতি,ধর্ম,বর্ণ বিভেদ ভুলে আমরা খাটি বাঙালী এই মূল মন্ত্রে উদ্যাপন করা হবে।
দিনটি উদ্যাপনে গত কয়েক দিন ধরে উপজেলা সদরের বেশ কিছু সরকারি,বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে নানা প্রস্তুুতি। “এসে হে বৈশাখ এস হে” এই গানের শুরে নতুন পোষাকে রোববার সকালে বের হবে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। আর ওই শোভা যাত্রাকে মনোমুগ্ধকর করতে শুধু গানে গানে ই নয় থাকবে গ্রাম বাংলার চিরা চরিত ঐতিহ্যবাহী ইলিশ, তাল পাখা, ঢেকি,কলস কাখে গাঁয়ের বধূঁ,একতারাসহ নানা ধরনের তৈজসপত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যমী শিক্ষক,শিক্ষার্থী ছাড়াও কর্মচারিরাও।
এদিনটি বর্ণাঢ্য ভাবে উদ্যাপন করতে ভা-ারিয়া উপজেলা প্রশাসন তিন দিনের কর্মসূচি দিয়েছে। তিন দিনের শেষ দিনে থাকবে আকর্ষণীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। ইউনিয়ন ভিত্তিক। তবে এসকল কর্মসূচি সার্বিক বিবেচনায় সন্ধ্যা ৮টার মধ্যেই শেষ করার কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। এদিকে ওই দিন কিশোর ,কিশোরী,তরুন –তরুনী,যুবক,আবালবৃদ্ধ বনিতা সবাই স্ব স্ব পরিবার পরিজনের জন্য প্রত্যেক্যের সাধ্যানুযায়ী নতুন পোষাক পরিধান করে পুরোনো ভেদাভেদ ভুলে সালাম,আদাব,প্রমান স্ব স্ব ধর্মানুযায়ী সকলের সাথে কুশল বিনিময়ে মধ্য দিয়ে আরেকটি নতুন বছরের নতুন সম্পর্কের অগ্রযাত্রায় মেতে উঠবে।
সকালের পর্ব শেষে দুপুরে ভালো খাবারে সময় পার করবে গ্রাম বাংলার মানুষ। সকাল ,দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে হতেই বিশেষ করে তরুনিরা বৈশাখী সাজে “বাসন্তী রঙ শাড়ি পড়ে ললনারা কোথায় যায়রে মেলায় যায়রে এই শুরে শুরে দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত হবে উপজেলার থানা ইকো পার্কসহ বিভিন্ন দর্শণীয় পর্যটন কেন্দ্র গুলো। সারা দিন হৈ হুল্লুর আর আইসক্রীম,ফুচকা,বাদাম, রকমারি খেলানা কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করবে বিভিন্ন বয়সী মানুষ। সেলফিতে সেলফিতে মুখরিত হবে ওই সকল স্থান ছাড়াও ছাদ বাগান, বাড়ির সুন্দর স্থানে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথেই এসকল দর্শনার্থীরা স্বপরিবারে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়বে।
অন্যদিকে সরকারি হিসেবে ১৪ই এপ্রিল ১লা বৈশাখ পালিত হলেও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সরকারি ভাবে অংশ নেবে। কিন্তুু পাঁজি মতে ওই দিন থাকবে চৈত্র সংক্রান্তি। ওই দিন ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান পাঠ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে নতুন খাতা ব্যবহার এবং দোকানের বাকি আদায়ে হালা খাতার অনুষ্ঠান পালন করবে। অনেক স্থানে নীল পূজাঁ (শীব পূজা অনুষ্ঠিত) হবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ২৯শে চৈত্র থেকে তিন দিন ব্যপি তাদের স্ব স্ব এবং পরিবারের সুখ শান্তির জন্য এমন বিশ্বাসে উপোষ থেকে শেষ দিনে পূণ্য¯œানে ধুপ,ধুনা,পুষ্প পল্ববী হাতে করো জোড়ে জীবের কর্তা দেবাদি দেব মহাদেব অর্থাৎ শীবের পায়ে ব্রাক্ষ্মনের মন্ত্রের সাথে সাথে অতীতের ন্যায় অঞ্জলী প্রদান করবেন বলে জানা গেছে। পরের দিন পঞ্চ মিস্টি,পঞ্চব্যঞ্জনে পরিবারের বিষেশ ভোজন করবে বাড়ির সকলে ছাড়াও আগত আত্মীয়স্বজনরা একত্রে। সব মিলিয়ে সবত্র বিরাজ করবে এক অনাবিল আনন্দের মেল বন্ধন।