জাতীয়
মেগা প্রজেক্টগুলো শেষ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়নে নতুন গতি সঞ্চারের জন্য বড় ধরনের বিনিয়োগ অপরিহার্য। মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের ফলে অবকাঠামো খাতে বাধা দূর এবং সার্বিক অর্থনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে অবকাঠামো উন্নয়নে মেগা প্রজেক্ট শেষ করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনাগাঁওয়ের বলরুমে দলের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানের আগে এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেগা প্রজেক্ট গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকায় দ্রুত গণপরিবহনের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ, এলএনজি ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট, মহেষখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম, পায়রা সমুদ্রবন্দর, পদ্মাসেতু রেল সংযোগ এবং চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২৯.৫ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এসব মেগা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ ও ভূমিকা পালনে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। এসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের যোগাযোগ-ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধিত হবে এবং সেই সঙ্গে মানুষের কর্মসংস্থান, আয় ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে বহুগুণ।
তিনি আরও বলেন, সাফল্য অর্জন ও প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য ৮টি বৃহৎ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গণবিরোধী শক্তির শত বাধা-বিপত্তি শক্ত হাতে মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে বহু প্রত্যাশিত পদ্মাসেতুর কাজ ২০১৮ সালের প্রথমার্ধ্বেই ৬২ শতাংশ সমাপ্ত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। মেট্রোরেল স্থাপনের কাজ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ডিসেম্বর ২০১৯ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ডিসেম্বর ২০২০ সালে শেষ হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরের ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য পটুয়াখালীর পায়রাতে একটি সমুদ্রবন্দর নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পায়রা বন্দরের পরিপূর্ণ উন্নয়নের জন্য ১৯ প্রকার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই বন্দরের মাধ্যমে ২০১৬ সালে প্রাথমিকভাবে মালামাল ওঠানো-নামানো শুরু হয়েছে।
সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এলএনজি টার্মিনাল বাস্তবায়িত হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।
লক্ষ্য ও পরিকল্পনা সমূহ-
১) অবকাঠামো রূপান্তরের লক্ষ্যে বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পরিকল্পনা অব্যাহত রাখা হবে।
২) পদ্মা রেলসেতু সংযোগ এবং কক্সবাজার-দোহাজারী-রামু-গুনদুম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ ত্বরান্বিত করা হবে।
৩) মাতারবাড়ী কয়লা বন্দর, ভোলা গ্যাস পাইপ লাইন ও উপকূলীয় অঞ্চলে একটি পেট্রোকেমিক্যালস কারখানা স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।