বরিশাল
রমজানের আগে বরিশালের বাজারে লাগতে পারে আগুন
বরিশালে রোজার আগেই ঊর্ধ্বমুখী ভাব রয়েছে মাছ, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে দামও কিছুটা বেড়েছে বলে দাবি করেছেন ক্রেতারা। তাই সাধারণ ক্রেতারা সংশ্লিষ্টদের কাছে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি করেছেন। গতকাল শুক্রবার নগরীর পাইকারি, খুচরা ও কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
নগরীর নতুন বাজারের কয়েকজন বিক্রেতাসহ অপর কয়েকজন ভ্রাম্যমান বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রকারভেদে রুই মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দড়ে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকায়, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি, রেখা ৫০ টাকা, ঝিঙ্গে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া পোল্ট্রি ডিম প্রতি হালি ৩২ থেকে ৩৪ টাকা, দেশী ডিম প্রতি হালি ৫০ টাকা, আমদানিকৃত পিয়াজ ২২ থেকে ২৪ টাকা, রসুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিনি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৩০ টাকা ও ময়দা ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে বিক্রেতা সূত্রে জানা গেছে।
বেশ কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি প্রতি শাক-সবজির মূল্য ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। কিছুটা বেড়েছে এমন দাবি করে বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ কম থাকায় কিছু কিছু সবজির দাম বাড়লেও বেশীরভাগ সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে।
পাইকারি বাজারে কিছু কিছু সবজির দাম প্রতি কেজিতে ২-৫ টাকা বেড়েছে। এ কারণে হয়তো বাজারে দাম বাড়তে পারে বলে করেন খুচরা বিক্রেতারা।
নতুন বাজারে আসা ক্রেতা মজিদ মিয়া বলেন, দাম কিছুটা বাড়ছে বলেই মনে হচ্ছে। শবেবরাত ও রমজানকে সামনে রেখে হয়তো দাম বাড়ানোর একটা প্রবনতা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষের উচিত হবে এখনি বাজার মনিটরিং শুরু করে দেয়া। তা নাহলে রমজানের আগে দাম হয়তো আরও বেড়ে যাবে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।