Scroll
হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি
শীতল পাটি কুঁটির শিল্পের গণ্ডি পেরিয়ে হয়েছে জাতিসংঘের স্বীকৃৃতিপ্রাপ্ত পণ্য। দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তকমা পাওয়া এ উপকরণটি কালের বিবর্তনে ফরিদপুর থেকে ক্রমশই হারিয়ে যেতে বসেছে। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচামাল ও পুঁজি সংকটে এতোদিন কোনোমতে চললেও করোনার ছোবলে পড়েছে অস্তিত্ব সংকটে।
তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, শিল্পটিকে বাঁচাতে চেষ্টা চলছে।
কারিগররা জানান, কাঁচামাল সংকট ও মূলধনের অভাব রয়েছে। পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়া ও প্লাস্টিক পণ্যের সঙ্গে পেরে না ওঠায় অনেকেই এ পেশা ছেড়েছেন। করোনাকালে উৎপাদিত পণ্য অবিক্রিত থাকায় দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক সংকটও।
এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারকে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেয়ার কথা জানালেন এ শিল্পের সাথে যুক্ত কয়েকজন ব্যক্তি।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় জায়গা পেয়েছে শীতল পাটি। শীতল পাটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের শীতল পাটি বুননের ঐতিহ্যগত হস্তশিল্পকে বিশ্বের ইনট্যানজিবল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এ প্রস্তাবটি প্রণয়ন করেছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। বাংলাদেশ সরকারের পে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ইউনেসকোর কাছে প্রস্তাবটি দাখিল করেছিল। স্বীকৃতিদানের মূল কাজটি করে ইন্টারগভর্নমেন্টাল কমিটি ফর দ্য সেফগার্ডিং অব দ্য ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ।