খেলা স্লাইড
১ রানের আক্ষেপ থেকেই গেল সাব্বিরের
৯৯ রানে আউট হয়েছেন সাব্বির রহমানএর চেয়ে আক্ষেপের কিছু হতে পারে না কোনও ব্যাটসম্যানের জন্য, যখন সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে থাকতে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় রান আউট হয়ে। সাব্বির রহমানকে চরম এই হতাশাজনক মুহূর্তকেই সঙ্গী করতে হলো। জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চতুর্থ রাউন্ডের খেলায় ৯৯ রানের আউট হয়েছেন রাজশাহীর এই ব্যাটসম্যান।
খুলনা-রাজশাহী
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে লিগ টেবিলের শীর্ষ দুই দল খুলনা-রাজশাহী। ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে রাজশাহী। খুলনার প্রথম ইনিংসে করা ৩০৯ রানের জবাবে তারা ৯ উইকেটে করেছে ৪১৮ রান। তাতে তৃতীয় দিন শেষে রাজশাহীর লিড ১০৯ রানের।
দলের এই জায়গায় যাওয়ার পথে সবচেয়ে বড় অবদান সাব্বিরের। চমৎকার ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত সংগ্রহের সঙ্গে রাজশাহীর স্কোর বাড়িয়ে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু নিজেই শিকার হয়েছেন হতাশার। ১৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
সেঞ্চুরির কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলেন সাব্বির, কিন্তু দুর্ভাগ্য তাকে জড়িয়ে ধরায় ৯৯ রানে দুঃখজনক রান আউটে ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে। ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করার আক্ষেপে পোড়া সাব্বির তার ১৬৯ বলের ইনিংসটি সাজান ১১ চার ও ১ ছক্কায়।
সাব্বিরের ইনিংসটার সঙ্গে লোয়ার অর্ডারে সানজামুল ইসলামের হাফসেঞ্চুরিতে রাজশাহীর স্কোর ছাড়িয়েছে ৪০০। এই স্পিনার ১৮৬ বলে করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ৬৪ রান। তার আগে মুক্তার আলীর ব্যাট থেকে আছে ৪৭ রান। তৃতীয় দিন শেষে অপরাজিত আছেন শফিউল ইসলাম (৮*) ও সাকলাইন সজীব (০*)।
খুলনার বোলারদের দিতে হয়েছে কঠিন পরীক্ষা। সারা দিনে তারা ৪ উইকেট নিতে পেরেছে রাজশাহীর। ২টি করে উইকেট শিকার সৌম্য সরকার, আল-আমিন হোসেন ও মনিরুল ইসলামের।
রংপুর-বরিশাল
রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনে প্রথম স্তরের ম্যাচে চলছে বোলারদের দাপট। স্বাগতিক রংপুরকে ২২৯ রানে অলআউট করে ব্যাটিং নেমে স্বস্তিতে নেই বরিশাল বিভাগও। ২৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বরিশাল তৃতীয় দিন শেষে ৭১ রান তুলতে হারিয়েছে ৩ উইকেট।
মনির হোসেনের ঘূর্ণির সামনে সুবিধা করতে পারেননি রংপুরের কোনও ব্যাটসম্যান। বরিশালের এই স্পিনার মাত্র ২৪ রান খরচায় পেয়েছেন ৫ উইকেট। মাহমুদুল হাসানই কেবল পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির দেখা। রংপুরের এই ব্যাটসম্যান ১৮০ বলে করেন ৬৭ রান।
ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেছেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। ৩১ রান আসে ধীমান ঘোষের ব্যাট থেকে। আর অধিনায়ক সাজেদুল ইসলাম অপরাজিত ছিলেন ২৭ রানে।
রংপুরকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৯ রানে অলআউট করে বরিশাল লক্ষ্য পায় ২৩০ রানের। এই লক্ষ্যটাই তাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে রবিউল হকের বোলিংয়ের সামনে। ২২ রানেই বরিশাল হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ওই উইকেটেই তারা দিন শেষ করেছে ৭১ রানে। জেতার জন্য শেষ দিনে বরিশালকে করতে হবে ১৫৯ রান, হাতে আছে ৭ উইকেট।
২ উইকেট পাওয়া রবিউল ফিরিয়েছেন দুই ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস (৯) ও রাফসান আল মাহমুদকে (০)। মনির হোসেনের (৭) উইকেটটি শুভাশিষ রায়ের। ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে দিন শেষ করেছেন আল আমিন (৩৫*) ও শামসুল ইসলাম (৯*)।