বিনোদন
২২ অক্টোবর মঞ্চে আসছে সংলাপ থিয়েটারের ‘বোধ’
প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে সংলাপের ২৬তম প্রযোজনা নাটক ‘বোধ’। ২২ অক্টোবর’১৮ (সোমবার) শিল্পকলা একাডেমীর এক্সপেরিমেন্টাল হলে সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে। মুন্সী প্রেমচাঁদ এর গল্প অবলম্বনে নাটক ‘বোধ’ এর নাট্যরূপ দিয়েছেন স্বপন দাস এবং নির্দেশনায় রয়েছেন মোস্তফা হীরা। পোষাক পরিকল্পনা- চিঠি হাবীব ও সেলিনা আক্তার প্রিয়া, কোরিওগ্রাফি- রবিন বসাক, মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা- পলাশ হেনড্রি সেন, আলোক প্রক্ষেপক ও আবহ সংগীত প্রয়োগ- সেলিনা আক্তার প্রিয়া ও ওয়ালিদ আহমাদ চৌধুরী।
‘বোধ’ কাহিনী সংক্ষেপ
একটি বোধহীন সমাজ ব্যবস্থায় আমরা বসবার করছি। এ নাটকের ঘিসু ও মেধো এর বাইরে নয়। পিতা-পুত্র (ঘিসু ও মেধো) বেঁচে থাকার লড়াইয়ে পর্যদুস্ত। ক্ষুধা তাদের করে তুলেছে অমানবিক, স্বার্থপর পশুসম। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সম্পর্কের বন্ধন কোন কার্যকর ভূমিকা রাখেনা তাদের জীবনে। তাই নাটকে দেখা যায় সামান্য কয়েকটি সেদ্ধ আলু নিয়ে পিতা-পুত্রের লড়াই। নিজের সন্তান সম্ভবা পুত্রবধূর অতিসমান্য খাদ্য কেড়ে নিতে ঘিসু উদ্ভুদ্ধ করে পুত্র মেধোকে। মেধোও বোধহীন এক জন্তুর মত কেড়ে নেয় বধূর সেই সামান্য খাবার।
ক্ষুধা তাদের এমনভাবে তাড়িত করে যে- নিজের পুত্রবধুকে মৃত ঘোষনা দিয়ে কিছু পয়সা পাবার লোভ সামলাতে পারে না ঘিসু। পুত্র মেধোও তা সমর্থণ করে। যে কোন ভাবে বেঁচে থাকাটাই যেন তাদের একমাত্র লক্ষ্য। অথচ কেন তারা আজ দরিদ্র, কেন পাচ্ছে না দু’মুঠো খাবার। এর জন্য এ সমাজ কতটা দায়ী। কেন তারা বৈষম্যর শিকার। এ নিয়ে ভাবেনা তারা। কোন দ্রোহ নেই। নিয়তির উপর সব ছেড়ে দিয়েছে। এদের কি আর সম্পূর্ণ মানুষ বলা চলে? অবশ্য নাটকের শেষ দৃশ্যে স্বপ্নের ঘোরে ঘিসু-মেধোকে দ্রোহী হতে দেখা যায়। ঘেন্না করে এই সমাজ, সমাজপতিদের। মেধো তার সন্তানকে বোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, মো: হাবীবুর রহমান, মঈনুদ্দীন হাসান খোকন, নাঈমা তালুকদার বন্যা, শাকিল আহমেদ ও মাসুদ আলম বাবু। নেপথ্যে আছেন, মো: মাইনুল ইসলাম, তালুকদার জুয়েল, আজমেরী সুলতানা লাকী, তামান্না মেহের পপি, আশিক-উল-ইসলাম, শহীদুল ইসলাম খোকন, শাকিলুজ্জামান রাজ, সাব্বির দেওয়ান ফাহিম, রাজীব লোচন মন্ডল, আবুতালেব মাসুম, আব্দুল হান্নান, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।