সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে ইসরায়েল-তুরস্ক


দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর টানাপোড়েনের পর নিজেদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভবিক করার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন দুই দেশের সরকারপ্রধান। নতুন এ পদক্ষেপের আওতায় দুই দেশের দূতাবাস পূর্ণমাত্রায় কার্যকর ও নতুন কূটনীতিক নিয়োগের মতো বিষয়ও রয়েছে।
জেরুজালেমে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া লাপিদ ও এরদোয়ানের স্বাক্ষরিত সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তুরস্ক ও ইসরায়েল পুনরায় নিজেদের মধ্যে পূর্ণমাত্রায় কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই অনুযায়ী, দুই দেশের দূতাবাস ফের সচল করা হবে এবং নতুন কূটনীতিক ও কনসাল জেনারেল নিয়োগ দেওয়া হবে।’
ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক তিক্ততা শুরু হয় ২০১৮ সালে, ফিলিস্তিনকে ঘিরে। ওই বছর অবরুদ্ধ গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এতে প্রায় ৬০ জন ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছিলেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদকে ইসরায়েলকে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানায় আঙ্কারা ও তুরস্কের তৎকালীন ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। জবাবে জেরুজালেমও বহিষ্কার করে ইসরায়েলে কর্মরত তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে।
তবে বৃহস্পতিবারের বিবৃতির মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট, পুরনো তিক্ততা ভুলে গিয়ে নিজেদের কূটনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় দু’টি রাষ্ট্র।
সূত্র : আরটি
এএজে
