ঢাকা রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Motobad news

দেড় ঘন্টার বৈঠকে বিসিসির বিদ্যুৎ সমস্যার অবসান

দেড় ঘন্টার বৈঠকে বিসিসির বিদ্যুৎ সমস্যার অবসান
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

অবশেষে টানা দুই দিন পরে বরিশাল নগরীর সড়কে আলো জ্বেলেছে। ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগের দেড় ঘন্টার বৈঠক শেষে জ্বলে উঠে নগরীর প্রায় ১৬ হাজার সড়ক বাতি। এর ফলে পুনরায় আলোকিত হয় নগরীর জনপদ।

এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান এর মধ্যস্ততায় মেয়রসহ সিটি কর্পোরেশন ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতি বরিশাল ক্লাবে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম এবং সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদসহ দুই দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

টানা দেড় ঘন্টার বৈঠক শেষে বৈঠকে হওয়া সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান।

বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান বলেন, ‘উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে এবং সমঝোতাও হয়েছে। তেমন কোন সমস্যা হয়নি। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিলো, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রটোকল রয়েছে। সেখানে একটু সমস্যা হয়েছিল।

মেয়র মহোদয়ের সাথে আলোচনা করতে ঢাকা ও খুলনা থেকে ওজোপাডিকোর কর্মকর্তারা এসেছেন। আলোচনা হয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। প্রটোকলগত বিষয়ের কারণে এই দুই দিন সমস্যা হয়েছে। এখন থেকে আর কোনো সমস্যার সমাধান আমরা দেখছি না।

ওজোপাডিকো বরিশালের তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী এটিএম তারিকুল ইসলাম বলেন, বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্থতায় সমাধান হয়েছে। এখন থেকে প্রতিমাসের বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ ও বকেয়া যে বিল রয়েছে সেটি ধীরে ধীরে পরিশোধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের সব কিছুই সমাধান হয়ে গেছে। মূলতঃ আমাদের নিয়মিত বিল নিয়ে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা সবাই মিলে বসে একমত হয়েছি। আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নির্দেশনায় বিষয়টি সমাধান হয়েছে। মানুষ ভোগান্তি থেকে মূলত বেঁচে গেছে, এইটাই বড় বিষয়।

তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র যখন আমি তখন দায়ভারও আমার। অযথা অযুহাত দিয়ে তো লাভ নেই। এখন থেকে প্রতিমাসের বিল প্রতিমাসে দেওয়ার চেষ্টা করবো আমরা যাতে বকেয়া না থাকে। যেহেতু বকেয়া আমাদের ছিলো সেহেতু দায়ভার তো আমাদেরই। সড়ক বাতি সব জায়গায় চালু হয়ে গেছে। শুক্রবার থেকে পানির লাইনও চালু হবে।

প্রসঙ্গত, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কাছে ৫৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা পাওনা ছিলো ওজোপাডিকোর। সেই বকেয়া পরিশোধ না করায় নগরীর সড়ক বাতির ১৫টি বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওজোপাডিকো। পরে পুরো নগরীর সকল সড়ক বাতির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, পাশাপাশি ১৫টি পানির পাম্পের বৈদ্যুতিক লাইনও বিচ্ছিন্ন করা হয়। দুই দিন নগরীর অন্ধকার থাকার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এদিকে বৈঠক শেষ হওয়ার পর পরই বিচ্ছিন্ন হওয়া নগরীর প্রায় ১৬ হাজার সড়ক বাতি পুনরায় জ্বলে ওঠে। আলোকিত হয়ে ওঠে বিদ্যুৎবিহীন ভূতুরে অন্ধকারে পতিত হওয়া নগরীর জনপদ।


কে.আর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন