দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং
বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্রমাণ করার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। এশিয়া কাপে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। সুযোগ পেয়ে ঘরের মাঠেও পারলেন না। ১২ বলে ১৬ রান করে আউট হতে হলো তাকে।
বড় তামিম এবং ছোট তামিমের জুটিটা হলো ৪১ রানের। ১৯ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর দুই তামিমের ব্যাটে মনে হচ্ছিলো ভালোই এগুচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ইশ সোধির বলে লকি ফার্গুসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তানজিদ হাসান তামিম।
সৌম্য সরকার বরাবরের মতোই ব্যর্থ। নিজের সামথ্যের বিন্দুমাত্রও ব্যবহার করতে পারলেন না। মাঠে নামলেন এবং মাত্র ২ বল খেলেই ইশ সোধির হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটলো তাওহিদ হৃদয়ের আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে। ৭ বল খেলে ৪ রান করলেন তিনি। এরপরই বোল্ড হয়ে গেলেন ইশ সোধির বলে। ৭০ রানের মাথায় পতন ঘটলো বাংলাদেশের ৪ উইকেটের।
জয়ের জন্য ২৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর দ্রুত উইকেট হারিয়ে ভালোই বিপর্যয়ে পড়েছে টাইগাররা। এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১৪.৩ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭০। ৪৮ বলে ৩৯ রান নিয়ে তামিম ইকবাল এবং ১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এর আগে প্রথম ওভারেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন প্রায়। ট্রেন্ট বোল্টের বল প্রথম মোকাবেলা করতে গিয়েই পরাস্ত হয়েছিলেন লিটন। হালকা আবেদন। সে আবেদনে কিছুটা সময় নিয়ে সাড়া দেন আম্পায়ার মরিস ইরাসমাস। লিটন রিভিউ নিলেন। হক আই ভিউতে দেখা গেলো, বল স্ট্যাম্প মিস করতো। উপর দিয়ে চলে যেতো উইকেটরক্ষকের হাতে। সুতরাং, নট আউট।
গোল্ডেন ডাক না মারলেও ব্যাট হাতে ভালো স্কোর গড়তে পারেননি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। ১৬ বল খেলে ৬ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। কাইল জেমিসনের বলে রাচিন রবিন্দ্রর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লিটন। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১৯ রান।
এইচকেআর