কাঠালিয়ায় প্রানীসম্পদ দপ্তরের কর্মচারি পারভিন আক্তারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ঝালাকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা প্রানীসম্পদ দপ্তরের কর্মচারি পারভিন আক্তারের বিরুদ্ধে সরকারি সহায়তা প্রাদানে স্বজনপ্রীতি সহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগকারি কাঠালিয়া গ্রামের মো. সুমন খান, মো. দুলাল হাওলাদার , মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার, জয়দেব হালদার, শুকুরঞ্জন মন্ডল, ইদ্রিস হাওলাদার, কিবরিয়া, সুলতান মিয়া হেতালবুনিয়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদ, উত্তর আউড়া গ্রামের সমির চন্দ্র মিস্ত্রী জানান কাঠালিয়া প্রানীসম্পদ অফিসের সকল সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত তাঁরা । পশু হাসপাতালের এল এস পি পদের কর্মচারি পারভীন আক্তারের বাড়ি কাঠলিয়ার আউড়া গ্রামে হওয়ায় তার নিজ এলাকায় গরু, ছাগল, হাসঁ মুরগি, না থাকলেও তাদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময় সরকারি অনুদানের নাম দিচ্ছে। খৈল, ভুষি, সহ সকল খাদ্য সামগ্রী তাদের পাইয়ে দিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্ধেক নিয়ে নিচ্ছে পারভীন।
অভিযোগকারিদের দাবি তাদের সকলের গরু, ছাগল, হাসঁ মুরগির ফার্ম রয়েছে। তারা একাদিক বার কাগজ পত্র অফিসে জমা দিলেও তাদের দেয়া হচ্ছে না কোন সরকারি সুবিধা।
অভিযুক্ত পারভীন বলেন, আমি এই হাসপাতালের কর্মচারি । নাম দেয়া নেয়া সহ সরকারি অনুদান সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্য বিতারণ করা আমার দায়িত্ব না। নামের তালিকা যাচাইবাচাই করেন অফিসের কমিটির লোকেরা । বরং যারা অভিযোগ করে তারা আমার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করেনি। এই অফিসে চাকরি নেয়ার সময় থেকে বিরোধীতা করছে তাঁরা ।
এই অভিযোগের বিষয় কাঠালিয়া উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মুমিন মুঠোফোনে জানান, সরকারি অফিসে যে সুবিধা আসে সেটা সঠিক ভাবে সুবিধাভোগিদের মধ্য বিতারণ করা হয়। তবে অনুদান সরকারি ভাবে যে কয়জন সুবিধাভোগির নাম আসে তা দিয়ে সবাইকে খুশি করা সম্ভব নয়। তারপরও আমার দপ্তরে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি আমার অফিসের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী স্বজনপ্রীতি বা ঘুষের মাধ্যমে নামের তালিকা করে তাদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
আসাদুজ্জামান সোহাগ / এইচকেআর