ঢাকা বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news

নলছিটি পৌরসভার দুর্নীতির তদন্ত শুরু

নলছিটি পৌরসভার দুর্নীতির তদন্ত শুরু
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার মেয়র, সচিব ও উপ সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন নলছিটি পৌরসভায় গিয়ে তদন্ত করেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক মো. কামাল হোসেন। সকাল ১০টা থেকে তিনি দুপুর পর্যন্ত অভিযোগের বিষয়ে মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য শোনেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই করে দেখেন।

গত ২৭ আগস্ট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পৌর-২ শাখায় মেয়র, সচিব ও উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ দেন নলছিটি পৌর এলাকার সূর্য্যপাশা গ্রামের ছাইদুর রহমান। 

অভিযোগে জানা যায়, মেয়র আব্দুল ওয়াহেদ খান, সচিব এএইচএম রাশেদ ইকবাল ও উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু সায়েমের যোগসাজশে পৌরসভার কয়েকটি কাজ পাইয়ে দেওয়া হয় মেসার্স খন্দকার ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। এ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধকারী হলেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মেয়রের বড় ছেলে রাসেলের মামা শ্বশুর পারভেজ খন্দকার। এমনকি পৌরসভার একটি উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ার আগেই ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নামে ৩৫ লাখ টাকার বিল দিয়ে দেওয়া হয়। এ টাকা থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কাজ পাইয়ে দেওয়া ব্যক্তিদের  বিরুদ্ধে। এছাড়াও এ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পৌরসভার ডেকরেশন ও পেইন্টিংয়ের কাজ দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন মেয়র ও সচিব।

এদিকে গত ৮ এপ্রিল ডেঙ্গু ও মসক নিধনের জন্য একটি খাতে দুই লাখ ৮৮ হাজার ৪০০ ও অপর একটি খাতে এক লাখ চার হাজার ২৮ টাকার কোন কাজ না করেই ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এছাড়ও ইজিপি দরপত্র ম্যানুয়ালে করার মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মেয়র, সচিব ও উপ সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। পৌরসভার সচিব ও উপ সহকারী প্রকৌশলী নিয়মিত অফিস করেন না। মাসে ৮-১০ দিন অফিস করেন তাঁরা। পৌরসভার নামে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখার হিসাবের চেকে অগ্রীম স্বাক্ষর করে থাকেন সচিব এএইচএম রাশেদ ইকবাল। 

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন বলেন, অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছি। তদন্তনাধীন বিষয়টি নিয়ে এখনি কিছু বলা যাবে না। তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুততম সময়ের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। 


এইচেকআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন