পাথরঘাটায় সরকারি জমি ভরাটের মহোৎসব

বরগুনার পাথরঘাটায় রাতের আঁধারে বালু দিয়ে সরকারি পুকুর ভরাট করে দখল করার মহোৎসব চালাচ্ছে দখলদাররা। তবে কারা দখলের চেষ্টা করেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায় পাথরঘাটা ভূমি অফিস লাগোয়া বিশাল জলধারাটির দক্ষিণপার পাথরঘাটা পৌরসভার পিছনের অংশটি বালু দিয়ে ভরাট করা। এ কারণে কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে পুকুরের অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন না হতে পারায় আশপাশের এলাকায় সহ পাথরঘাটা আদর্শ পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথটিও পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান পাথরঘাটার বিভিন্ন জলাধারগুলো সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে দিন দিন দখলদারদের পেটে চলে যাচ্ছে। যে অংশ বাকি আছে তাও নর্দমায় পরিণত হয়েছে।
পাথরঘাটা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাঁকন জানান, আমি বাদী হয়ে ২০১৯ সালে ১ নং খাস খতিয়ান এর ৫০৫ ও ৩৩৯৬ দাগে খাল ভড়াটি জমিতে অবৈধভাবে দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছি। মামলা নং ৭৭৭১/২০১৯। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানোর পরেও প্রতিদিন খাল ভরাটি জমির দখলের মহোৎসব চলমান আছে পাথরঘাটায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতক্ষদর্শী জানান, পাথরঘাটা পৌরসভা ভবন নির্মাণের জন্য পুকুরটি ভরাট করতে যাচ্ছিল। তবে তা ইউএনও বন্ধ করে দিয়েছেন বলে তারা জানান।
এবিষয়ে পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন জানান, জমিটি ইতিপূর্বেই আমাদের দখলে ছিল। তবে নিচু অংশ হওয়ায় বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। যাতে পানি না জামতে পারে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ জানান, রাতের আঁধারে কারা যেন সরকারের রেকর্ড ভুক্ত খাস খতিয়ানের পুকুরটি বালু দিয়ে ভরাটের পাঁয়তারা করছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। তবে পাথরঘাটার যে সকল সরকারি জমি দখল হয়েছে সেগুলো উদ্ধার করা হবে। অপরদিকে জলাধার দৃষ্টি নন্দন করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
খোকন কর্মকার
এমবি