ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news

নলছিটিতে রাস্তাজুড়ে গর্ত, গর্তেভরা কাদাপানি

 নলছিটিতে রাস্তাজুড়ে গর্ত, গর্তেভরা কাদাপানি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঝালকাঠির চাচৈর রনাঙ্গন,  রয়েছে যুদ্ধকালীন ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার এম এ জলিলের স্মৃতি ফলক। সেখানে যাওয়ার একমাত্র সড়কটি সংস্কারের অভাবে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কজুড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর গর্তের ভেতরে বৃষ্টির পানি জমে কাদায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।

ষাটপাকিয়া-চাকলার বাজার এই সড়কটি পুননির্মাণের জন্য দরপত্র হলেও ঠিকাদার কাজ ফেলে রাখায় যানবাহন চলাচলতো দূরের কথা, পথচারীদের পায়ে হেটে চলাও দুরহ হয়ে পড়েছে। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ সড়কের এ বেহাল অবস্থার জন্য ঠিকাদারকে দায়ি করেছেন। 

জানা যায়, ষাইটপাকিয়া থেকে চাকলার বাজার পর্যন্ত সাড়ে সাত কিলোমিটার সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এবং যানবাহন চলচল করে। সড়কটির পিচ উঠে গিয়েছে অনেক আগেই, বিভিন্ন স্থানের মাটি সরে খালের সঙ্গে মিশে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। সবচেয়ে বেশি ভোগন্তিতে পরছে এসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা। সংস্কারের অভাবে বর্তমানে সড়কটি পরিনত হয়েছে মরণ ফাঁদে। প্রতিনিয়ত এ সড়কে ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা, হচ্ছে প্রাণহানীও। ঠিকাদার সড়কের পাশের নরম মাটি কেটে কিছুটা সংস্কার কাজ করে দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় আরো বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ক্ষোভের অন্ত নেই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীদের। 

সড়কের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে ঝালকাঠির স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, এজন্য দায়ি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারাই সড়কটি সংস্কার করে যাতায়াতের উপযোগী করবেন। 
চাচৈর গ্রামের অটোরিকশা চালক মো. সাইদ বলেন, আমাদের এই রাস্তাটি খুবই খারাপ। চার-পাঁচ বছর ধরে রাস্তাটি ভেঙে আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা কাদার মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে। অটোকিশা যাত্রী নিয়ে ষাইটপাকিয়া থেকে কিছুদূর গিয়ে আর যেতে পারে না। 

চাকলার বাজার এলাকার জব্বার হাওলাদার বলেন, রাস্তা দিয়ে কোন রকমের পায়ে হেটে যাওয়ার মতোও অবস্থা নেই। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা কাদাপানির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে। কবে নাগাদ এ রাস্তাটি ঠিক হবে, আমাদের জানা নেই। দুর্ভোগ যতো আমাদের পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় প্রেমহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা খুব কষ্ট করে কাদা ভেঙে স্কুলে আসে। রাস্তা দেখলে মনে হবে কাদায় মাখা কোন মাঠ। আমরা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই। সরকারের কাছে দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার করে জনগণের যাতায়াতের ব্যবস্থা করুন। 
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি (ইউপি সদস্য) হালিম গোলন্দাজ বলেন, বৃষ্টির মধ্যে সড়ক দিয়ে মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। নতুন ঠিকাদার বৃষ্টির মধ্যেও কিছু কাজ করেছেন। পানি আর কাদায় সমস্যা বেড়েছে।

ঝালকাঠির এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমীন বলেন, সাড়ে সাত কিলোমিটার সড়কটি সংস্কারের জন্য আমরা ২০২০ সালে দরপত্র আহ্বান করি। যে ঠিকাদার কাজটি পেয়েছে, তিনি যথা সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন না করায় তাঁর লাইসেন্স বাতিল করা হয়। কাজটি অন্য এক ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছে। তিনি কাজ শুরুও করেছেন, তবে বৃষ্টিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। বৃষ্টি শেষ হয়ে গেলে অল্প সময়ের মধ্যেই কাজটি সম্পন্ন হবে বলে আশাকরি।
 


এইচেকআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন