পাথরঘাটার ত্রিশ জেলেসহ দুই ট্রলারের সন্ধান মেলেনি এখনো

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবল পড়ে নিখোঁজ হওয়া পাথরঘাটার ৩০ জেলেসহ দু’টি মাছ ধরার ট্রলারের সন্ধান এখোন পওয়া যায়নি। তাদের স্বজনরা প্রতিদিন সাগরে জলযান নিয়ে জেলেসহ ট্রলারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চালাছে। ট্রলারসহ জেলেদের উদ্ধারে সাগর সিমানায় নৌবাহিনীর জাহাজের সহয়তা চেয়েছেন ট্রলার মালিক ও জেলে পরিবর। নিখোঁজ ট্রলার দু’টি হচ্ছে, লিটন কম্পানীর এফবি আবদুল্লা ও সাবেক কাউন্সিলর আবদুর রহমানের মালীকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া।
লিটন কম্পানী জানান, গত দুই মাস আগে ঝড়ের কবলে পড়ে তার কোটি টাকার একটি মাছ ধরার ট্রলার সাগরে তলিয়ে গেছে। সেই ট্রলারের ৩ জন জেলে এখোনো নিখোঁজ রয়েছে। আবার নতুন করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে পাথরঘাটার ৩টি ট্রলার ডুবে ৪ জেলে মারা গেছে এবং ৩০ জেলেসহ নিখোঁজ রয়েছে দু’টি ট্রলার। এই ট্রলার খোঁজ করার জন্য সাগরে আরো কয়েকটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে। ট্রলারগুলো যদি ঝড়ের কবলে পড়ে ভারতের মধ্যে প্রবেশ করে থাকে তাহলে ওই ট্রলার দু’টি সন্ধানের জন্য সরকারের একান্ত সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মালিক আবদুর রহমান জানান, আমার ট্রলারে নিখোঁজ ১২ জেলে সবাই আমার প্রতিবেশী। প্রতিদিন ওই জেলে পরিবারের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এসে কান্নাকাটি করে তাদের বাবার জন্য। এসব পরিবার এখোন অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। অর্থ সংকটের কারনে আমি কিছুই করতে পারিনাই তাদের জন্য। আমার দাবী ট্রলারগুলা যেখানেই থাকুনা কেন তাদের সন্ধানে সকারের বিশেষ ভুমিকা রেখে পরিবারের প্রতি সাহায্যের আবেদন জানান তিনি।
নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন, পাথরঘাটা চদুয়ানী ইউনিয়নের শাজাহান মাঝি, আমির হোসেন, রশিদ মোল্লা, মাসুদ, সিরাজ হাওলাদার, আবুল কালাম, ফারুক হোসেন, আঃ ছত্তার, নাসির, খলিলুর রহমান, ছগির হোসেন ও ফুল মিয়ার।
উল্লেখ্য গত ২৮ সেপ্টেম্বর পাথরঘাটা থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষি বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ সময় ৪ জেলের মরদেহসহ ৫২ জেলেকে সাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হলও এখোনো ৩০ জেলেসহ দুই ট্রলার নিখোঁজ রয়েছেন।
এমবি