ঢাকা শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news

রাজাপুরে ছেলে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

রাজাপুরে ছেলে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

রাজাপুর উপজেলার কানুদাসকাঠি গ্রামে বাবা বিরুদ্ধে ছেলেকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করে আবার নিজেই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের তদন্তে বাবাসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলেও বর্তমানে সুচতুর আমির হোসেন মামলা থেকে রক্ষা পেতে নানা অপকৌশল চালাচ্ছে।

মামলাটি বর্তমানে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে যুক্তিতর্কের অপেক্ষায় রয়েছে। অভিযুক্ত বাবা আমির হোসেন রাজাপুর উপজেলার কানুদাসকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক। খুন হওয়া পুত্রের নাম আল আমিন (২০) সে বেকার জীবনযাপন করতো। হত্যাকান্ডের একমাস পূর্বে সে বিয়ে করে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আল আমিন হত্যার পরিকল্পনাকারী বাবা আমির হোসেনের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করা হয়। আল-আমিনের মা অসুস্থ থাকায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ফুপাত ভাই ওবায়দুল হক। উপস্থিত ছিলেন নিহত আলআমিনের ফুফাতো ভাই আবদুল বারেক ও তাঁর স্ত্রী রুবি বেগম।

 মামলার নথিপত্র ও  নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, সিরাজুল ইসলাম ওরফে আল আমিন ২০০৯ সালের ৩ জুলাই খুন হয়। এ ঘটনায় আল আমিনের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় পরেরদিন একই এলাকার হারুন অর রশিদ ও মন্টুকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের সময় আল আমিনের পরিহিত লুঙ্গির কোচরে থাকা মোবাইল নোকিয়া ১১০০ সেটটি পরে গেলে তাঁর সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মোজাম্মেল আকনকে গ্রেপ্তার ও মোবাইল উদ্ধার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজাপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মোজাম্মেল আকন। জবানবন্দিতে তিনি আমির হোসেনের সঙ্গে ৫০ হাজার টাকার চুক্তিতে ৬ জনে মিলে হত্যাকান্ড পরিচালনা করে বলে স্বীকার করেন।  

এ হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড আমির হোসেন মাস্টার উল্লেখ করে মোজাম্মেল আকন আদালতকে জানায়, মো. আমির হোসেনের অবাধ্য সন্তান আল আমিন বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না পেলে আল আমিন তাদের ওপর জুলুম নির্যাতন চালাবে, তাই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে বাবা। এজন্য আল আমিনকে খুন করতে  মোজাম্মেলসহ পাঁচ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে। ঘটনার দিন  ২০০৯ সালের ৩ জুলাই আল আমিনকে খাবারের সপয়মড় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে আমির হোসেন। আমির হোসেনের পরিকল্পনা অনুযায়ী অচেতন আলামিনকে ঘর থেকে রাত ১১টায়  নামিয়ে হত্যা করা হয়।  আমির   হোসেন ১০-১৫ হাত দূরে দাড়িয়ে থেকে প্রত্যক্ষ করেন খুনের সব কিছু।

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন