ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • সংস্কারের প্রভাবে বেহাল ববির কেন্দ্রীয় মাঠ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ শান্ত, ফিরলেন সাইফউদ্দিন বরিশালসহ চার বিভাগের অধিকাংশ স্থানে হতে পারে ভারী বৃষ্টি বিএম কলেজে ‘উত্তরণ’ সাংস্কৃতিক সংগঠনের জ্যৈষ্ঠ উৎসব  জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের জন্য অর্থ সংগ্রহ করত মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা ডেঙ্গুর পাশাপাশি বাড়ছে করোনা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ ‘৬ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রা*ণ গেল ২ হাজার ৭৭৮ জনের’ দলের কেউ অপরাধ করলেই ব্যবস্থা নেবে বিএনপি: রিজভী বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে করোনা পরীক্ষার ফি পুনর্নির্ধারণ ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
  • ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ

    ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    দেশীয় বাজারে চালের মূল্য বৃদ্ধি রোধ ও আমদানি নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছর বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। গত ২৫ আগস্ট ৪০০ জন আমদানিকারককে সাড়ে ১৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার টন ছিল সিদ্ধ চাল ও এক লাখ ৯৭ হাজার টন আতপ চাল।

    খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রোববার থেকে ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে।

    জানা যায়, মোটা চাল প্রতি টন ৩৭০ থেকে ৩৮০ ডলার এবং চিকন চাল প্রতি টন ৪২৫ থেকে ৪৭০ ডলার মূল্যে আমদানি হয়। তবে শর্ত ছিল ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এ সমস্ত চাল ভারত থেকে আমদানি শেষ করতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী শনিবার ছিল চাল আমদানির শেষ দিন। ৩১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আর চাল আমদানি করতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা।

    শনিবার যশোরর বেনাপোল ও দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি সম্পূর্ণ করতে তোড়জোড় করতে দেখা যায় আমদানিকারকদের। তবে রোববার এ দুই বন্দর দিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় চালের ট্রাক সিরিয়ালে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

    জানা যায়, দেশে প্রতি বছর চালের চাহিদা রয়েছে ২ কোটি ৩১ লাখ ৮২ হাজার টন। আর দেশে চাল উৎপাদন হয় বছরে গড়ে সাড়ে তিন কোটি টন। চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে।

    সূত্রমতে, ২০১৯ সালে দেশে চাল উৎপাদন হয় ৩ কোটি ৬৫ লাখ টন। ২০২০ সালে ৩ কোটি ৭৪ লাখ টন এবং ২০২১ সালে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টন। তবে বৈরী আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাঝে মধ্যে দেশে চাল আমদানির প্রয়োজন হয়। কিন্তু কিছু আমদানিকারকেরা সারা বছর ধরে চাল আমদানি করে। এতে ভরা মৌসুমে চাল আমদানির কারণে চাষিরা ন্যায্য মূল্য না পেয়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়। এতে সরকার চাষিদের বাঁচাতে চাহিদা মতো চাল আমদানিতে আমদানিকারকদের তালিকা ও চাল আমদানির পরিমাণ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেন।

    বেনাপোল দিয়ে চাল আমদানিকারক মোশাররফ হোসেন জানান, সরকারি চুক্তি অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর থেকে আর আমদানি করা যাবে না।

    চাল আমদানিকারক আলাউদ্দীন জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানিকৃত মোটা চাল প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং চিকন চাল ৫২ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে বাজারে। বন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা চাল কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন বন্দর থেকে।

    বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে  চাল আমদানি বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা আসলে পুনরায় ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হবে। তবে ওপারে এখনো কয়েকজন ব্যবসায়ীর চালের ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।

    বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, রোববার সকাল থেকে চাল আমদানির কোনো গেট পাশ হয়নি। ভারত থেকে চালের কোনো চালান আমদানি হয়নি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার ছিল চাল আমদানির শেষ দিন। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ থাকবে।


    এমবি
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ