ঢাকা বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

Motobad news
হুমকির মূখে আমরাজুড়ী ফেরী ঘাট

কাউখালীর সন্ধ্যা নদীর মোহনায় তীব্র ভাঙন

 কাউখালীর সন্ধ্যা নদীর মোহনায় তীব্র ভাঙন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

কাউখালী উপজেলার আমরাজুড়ী ফেরিঘাটে আবারো সন্ধ্যা নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। সন্ধা নদী আর গাবখান চ্যানেলের সংযোগ স্থলে প্রতিনিয়িত ভাঙছে। বিলীন হচ্ছে ঘাট, বাজারের দোকানপাটসহ ফসলী জমি। ত্রিমুখী ভাঙনের মুখে পড়েছে আমরাজুড়ী ইউনিয়নের বরিশাল,স্বরূপকাঠী-কাউখালী, মংলা সড়ক সংযোগকারী ফেরীঘাট। বাজারের কমপক্ষে ৩০/৩৫টি বিভিন্ন প্রকারের দোকান গ্রাস করছে রাক্ষুসে নদী সন্ধ্যা। ফেরিঘাটটি বার বার স্থানান্তরিত করতে হচ্ছে। সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে এমনটাই জানালেন এলাকাবাসী।

ফেরিঘাট এলাকার ব্যবসায়ী শাহ জামাল জানান, সন্ধ্যা নদী থেকে আমরাজুড়ী ইউনিয়নের মাজখান চিড়ে গাবখান ট্যানেলের সৃষ্টি হয়েছে। চ্যানেলের মোহনার উত্তর পাড়ে আশোয়া গ্রাম দক্ষিন পাড়ে আমরাজুড়ী গ্রাম অবস্থিত। সন্ধ্যা নদীর কড়াল গ্রাসে ইতোমধ্যে ওই দু’টি গ্রাম বিলীনে শেষ প্রান্তে পৌছেছে। গাবখান চ্যানেলের মোহনা থেকে সন্ধ্যা নদীতে রয়েছে আমরাজুড়ী ফেরি চলাচল। ওই ফেরিঘাট থেকে পিরোজপুর থেকে কাউখালী, স্বরূপকাঠি,  বানারীপাড়া, উজিরপুর, গড়িয়ারপাড় হয়ে বরিশাল-ঢাকা।

 অপর দিকে পিরোজপুর-বাগেরহাট সহ খুলনা যাতায়াত করে। প্রতিদিন শতশত যানবাহন চলাচল করে ওইসব রুটে। সন্ধ্যা নদীর অব্যহত ভাঙনে প্রতিনিয়ত  দোকান, বাড়িঘর, মসজিদসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে। ফেরীঘাট জামে মসজিদের ইমাম গাজী আনোয়ার হোসেন জানান, এ পর্যন্ত নদী ভাঙনের কারণে বহু বার ফেরিঘাট স্থানান্তর করতে হয়েছে।  স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা ইকবাল  হোসেন সহ ক্ষতিগ্রস্তরা জানান তিন নদীর মোহনায় আমরাজুড়ী ফেরীঘাট হওয়ায় এ ভাঙনের মুখে পড়ছে এলকাবাসী। অবিলম্বে যদি বেরিবাঁধ না করা হয় তাহলে আমরাজুড়ী ইউনিয়নের বিরাট একটি অংশসহ কাউখালী-শেখেরহাট সংযোগ সড়কটি বিলীন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে আমরাজুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সী জানান, ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হলে বাজার ও ফেরীঘাট রক্ষা করা সম্ভব হবে না। উল্লেখ্য যে কিছুদিন পূর্বে পাইলিং করে বালুর বস্তা ফেললেও শেষ রক্ষা হয়নি আমরজুড়ী ফেরীঘাট ও তদসংলগ্ন ঘড় বাড়ী দোকান পাট, মসজিদ, বাজার, ফেরীঘাট। যে কোন সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে কাউখালী-শেখেরহাট-ঝালকাঠী সংক্ষিপ্ত রাস্তা। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

রবিবার বিকেলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা খালেদা খাতুন রেখা বলেন, বার বার ভাঙনের ফলে ঘাটের মানাত্মক সমস্যা হচ্ছে। এর আগে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম তাও ভেঙ্গে গেছে। বিষয়টি মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আস্বাস দিয়েছেন। পানিউন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পিরোজপুর পানিউন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবে মওলা মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন বিষয়টি আমরা জেনেছি।পূর্বে ভাঙন রোধে আমরা পায়রিং করেছিলাম তাও ভেঙে গেছে। ঢাকায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যেই বরাদ্ধ পেয়ে যাব।

 


 

মো. তারিকুল ইসলাম পান্নু/এইচকেআর


গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন