ভাইয়ের পা ভাঙ্গার ৩ দিন পর বখাটের বিরুদ্ধে মামলা নিল পুলিশ


ইন্দুরকানীতে বোনকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে ভাইয়ের পা ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনার ৩ দিন পর বখাটেসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিল পুলিশ। রোববার ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির মামলাটি এজেহার হিসাবে রেকর্ড করেন। এর আগে আহত মামুনের পিতা আলতাফ সাজ্জাল বাদী হয়ে বখাটে ফরিদ হাওলাদার, ও তার সহযোগী আরিফুর রহমান, সাগর, নিজামুল হক সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
গত ১৯ জানুয়ারী বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার ইন্দুরকানী লঞ্চঘাট এলাকায় সহদর ভাই মামুন বোনের উত্যক্তের প্রতিবাদ করে। তখন একই এলাকার বখাটে ফরিদ হাওলাদারে নেতৃত্বে ৪ থেকে ৫ জন সহযোগী ভাই মামুন কে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে দেয়। এবং তার পায়ে গুরুতর জখম হয়।
জানা যায়, উপজেলার ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের ইন্দুরকানী গ্রামের আলতাফ সাজ্জালের দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়েকে একই গ্রামের নিজামুল হাওলাদারের ছেলে ফরিদ হাওলাদার (২০) দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল। এছাড়া স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্যক্ত করা সহ বিভিন্ন অশালীন কথাবার্তা বলে। এছাড়া স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্যক্ত করা সহ বিভিন্ন অশালীন কথাবার্তা বলে। এমনকি নানা অযুহাতে স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে ও উত্যক্ত করে। স্কুল ছাত্রীর বড় ভাই মামুন ওই বখাটে ফরিদকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করলে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত করে দেয়। পরে আহত মামুন কে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মামুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত মামুন সাজ্জাল জানান, আমার ছোট বোন সেতারা স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী তাকে স্থানীয় বখাটে ফরিদ উত্যক্ত করায় আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত করে দেয়।
ইন্দুরকানী থানার ওসি (তদন্ত) মো. শামিম আহম্মেদ জানান, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
এইচকেআর
