মঠবাড়িয়ায় সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু:বিচারের দাবীতে মানববন্ধন


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় লোহার গরম খুঁন্তি দিয়ে গৃহ পরিচারিকার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দেয়া মামলার সাজাভোগকারী শিক্ষিকা দিলারা আক্তার এমিলির বিরুদ্ধে আবারও বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জেছের আলী ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন।
এসময় বিচারে দাবীতে এলাকাবাসী এবং ৬৮নং পশ্চিম সেনের টিকিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেন। এর আগে তার বিরুদ্ধের স্থানীয় সজিব মিয়া নামের এক যুবক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণায়ের সচিব বরাবরে একখানা অভিযোগ করেন।
জানাগেছে, সহকারি শিক্ষক দিলারা আক্তার এমিলি ২০০২ সালে উপজেলার ৮৯নং সাপলেজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চাকুরীরত অবস্থায় তার বাসার পরিচারিকাকে লোহার গরম খুঁন্তি দিয়ে ছ্যাকা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে দেয়। ওই মামলায় তার সাজা হলে আইনের বিভিন্ন ফাঁক ফোকর দিয়ে চাকুরিতে পুর্নবহাল হন। পরে ৬৮নং পশ্চিম সেনের টিকিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের পর শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার, বিদ্যালয়ে নিয়মিত না আসা সহ বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পরেন। এমনকি এলাকার লোকজনের সাথেও বিভিন্ন মামলা মোকদর্মায় জড়িয়ে পরেন। তাছাড়া ওই এলাকার দুলাল নামে একজনকে হত্যা চেষ্টা মামলায় দিলারা আক্তার ২০২০ সালে কারাবাসও করেন। অপর দিকে তিনি মামলায় হাজিরা দিতে গেলেও বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দেয়।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা দিলারা আক্তার এমিলি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে।
পিরোজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জেছের আলী জানান, মামলার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারভুক্ত। ছাড়া অন্যান্য অভিযোগের বিষয় তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর
