সিডরের পর আজও চালু হয়নি ফেরি, দুর্ভোগে যাত্রীরা


পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার কলারণ ফেরিঘাটে ফেরি না থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার যাত্রীরা। দক্ষিণাঞ্চলের এই ফেরিটি সিডরের সময় বিধ্বস্ত হওয়ায় আজও পর্যন্ত তা পুনরায় সংস্কার করে চালু করা হয়নি। নদীর দুইপাড়ের ফেরির পল্টনগুলো সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরে কয়েক বছর পড়েছিল।
পরবর্তীতে মেরামতের জন্য নিয়ে গেলে আজও সেখানে পল্টুন দেওয়া হয় নাই। সেই ঘাটটি দিয়ে শতশত লোক দৈনিক দুইপাড়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে চলাচল করে। নদীটি প্রায় ৩ কিমি দূরত্ব ও খরস্রোতের কারণে প্রায়ই ট্রলারে মটর সাইকেলসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে পার হতে হিমশিত খেতে হয়।
বৃষ্টির মৌসুমে এই নদী পার হতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। পিরোজপুর থেকে সুন্দরবন যাওয়ার একমাত্র পথ। এখান থেকে সুন্দরবন, মোংলা, শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জসহ দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করা হয়। ট্রলার পারাপারের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ঘাট না থাকার কারণে পানির মধ্যদিয়ে যাত্রীদের ট্রলারে উঠতে হয়। জোয়ারের পানিতে ঘাটটি তলিয়ে যাওয়ায় মোটরসাইকেল, সাইকেল ও ভারি মালামাল ট্রলারে উঠাতে অনেক কষ্ট হয়। ফেরি না থাকায় ঢাকা, চট্রগ্রামের পরিবহন ও পিরোজপুরের লোকাল বাসগুলো ঘাট পর্যন্ত গিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে নেমে যাত্রীরা ট্রলার যোগে নদী পার হয়ে অন্য বাহনে চলে যায়। ফেরিটি চালু থাকলে এই রুট ব্যবহার করে বাসে করেই সন্নাসী পর্যন্ত যেতে পারত যাত্রীরা।
এই পথের নিয়মিত যাত্রী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আমি নিয়মিত এই পথে যাতায়াত করি। এই ঘাটে মাত্র দুইটি ট্রলার থাকার কারণে প্রায়ই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। কোনো ঘাট না থাকায় ট্রলারে উঠতে এবং নামতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। পারাপারে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হয়। মোটর সাইকেল প্রতি ৫০/৭৫ টাকা হারে আদায় করে।
উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমান জানান, ঘাটটি সিডরে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে আর চালু হয়নি। শিগগিরই এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন্নেসা খানম বলেন, পার্শ্ববর্তী জেলা ও সুন্দরবনে যোগাযোগের জন্য এ ঘাটটি জনগুরত্বপূর্ণ। ঘাটটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করে চালু করা দরকার।
এইচকেআর
