ভান্ডারিয়ায় প্রতিবন্ধী পরিবারের একটি ঘরের আকুতি

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ১নম্বর ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ভিটাবাড়ীয়া গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আসমা বেগমের বাবা শাহ আলম তালুকদারের আকুতি একটি ঘরের। তিনি জানান, তার পাঁচ কণ্যা সন্তান। ৭৩ বছরের বৃদ্ধ প্রতিবন্ধি শাহ আলম অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন তিনি ডাইবেটিক্সসহ নানান জটিল রোগে আক্রান্ত তার মধ্যেও কয়েকবার বার স্ট্রক করেছেন। এখন দু একপা হাটতে পাড়লেও আয় করার সমর্থ নেই তার।
আলাপকালে জানান, আমার মেঝ মেয়ে আসমা শিশু অবস্থা থেকে জ্ঞান বুদ্ধিহীন সহ নানান সমস্যায় বেড়ে উঠে। তার চরম মানসিক সমস্যার কারনে পড়াশোনাও করানো হয়নি। সেই প্রতিবন্ধী মেয়েকে এক বাক প্রতিবন্ধী ছেলের সাথে বিবাহ দিয়েছেন । মেয়ের সামন্য আয়ে চলছে কোন মতে আমাদের কষ্টের সংসার। সরেজমিনে দেখা যায় কেটি জরাজীর্ণ কুড়ে ঘরের দুই কক্ষের একটি ঘরে থাকেন প্রতিবন্ধী মেয়ে ও তার দুই শিশু সন্তান এক কক্ষে থাকেন সে।
বড় মেয়ে শাহিনুর জানান, আমার মা গত এক বছর আগে মারা গেছে। বাবা খুব অসুস্থ্য থাকায় কোন রোজগার করতে না পারায় ভাল ভাবে দু-বেলা খাবার জুটছে না । ১০ বছর ধরে দর্জির কাজ করে এই সংসার চালিয়েছি। এখন আমার বিয়ে হয়েছে তাই আগের মত তাদের সহযোগিতা করতে পারছি না। জরাজীর্ণ ঘরটিতে রোদ,বৃষ্টির মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
অশ্রুশিক্ত নয়নে জানান, সরকারি বা বেসরকারি কোন সাহায্য সহোযোগিতাও পাননা সে বা তার পরিবার।
এ ব্যপারে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল করিম পান্না সাংবাদিকদের বলেন, যারা ঘরের জন্য আবেদন করেছেন পর্যায়ক্রমে তারা সবাই ঘর পাবেন। তাদেরও ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন করতে বলেন। তাদের ঘর পাইয়ে দেয়ার ব্যাপারে আমি জোড় চেষ্টা করবো।
এদিকে প্রান্তিক পর্যায়ে মেম্বার, চেয়ারম্যান যখন সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের তালিকা প্রস্তুত করেন তখন স্থানীয় সরকারের উন্নয়নের ধারা তরান্বিত করতে তাদের ই এই সকল ছোট খাট বিষয়ের প্রতি খোঁজখবর নেয়ার কথা বলে স্থানীয়রা অনেকে মতপোষণ করেন। একই সময়ে এই পরিবারটি সহ এধরনের যারা মানবেতর জীবন যাপন করছে মেম্বার,চেয়ারম্যাদের অগ্রাধীকার ভিত্তিতে বিশেষ নজর দেয়ার জন্য অনুরোধ তাদের।
এমইউআর