ইন্দুরকানীতে চেয়ারম্যানের উপরের হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. এম, মতিউর রহমানের উপর হামলা গাড়ী ও ভাংচুেরর অভিযোগে টানা চার দিন ধরে বিক্ষোভ কর্মসুচী চলছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও তিন দিনেও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের উপর হামলাকারীদের নামে মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। যে কোন সময় আসামী গ্রেফতার হতে পারে।
গত সোমবার রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান এম,মতিউর রহমানের উপর হামলা ও গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার থেকে উপজেলা সদর, চন্ডিপুর বাঘারহাট, পত্তাশী বাজার, ইন্দুরকানী বাজারে উপজেলা ্আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী হামলাকারীদের গ্রেফতার শাস্তি দাবীতে বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করে আসছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলা পত্তাশী ছালাম তালুকদার হাটে দলটি বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম হাওলাদার জানান, হামলাকারী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত এ বিক্ষোভ কর্মসুচী চলবে।
অপরদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান হামলার শিকারের বিষয় অভিযুক্ত প্রধান হামলাকারী সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সজীব হাওলাদারের সাথে থাকা উত্তম কুমার নিজে এক ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। এ ভিডিও বার্তাটি উপজেরা ব্যাপি ব্যাপক আলোড়ণ সৃষ্টি হয়েছে।
ভিডিও তে উত্তম কুমার বলেন , আমার থাকার ঘর নাই পলিথিন দিয়ে থাকি, এবিষয় আমি সজিব কে বললে সজিব উপজেলা চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের কাছে আমাকে নিয়ে যায়। আমাকে ঘরের জন্য আবেদন দিতে বলে। সজিব আবেদনের সাথে বিশ হাজার টাকা চেয়ারম্যানের কাছে দেয়ার কথা বলে। আমি বিশহাজার টাকা যোগার করে একটি খামে আবেদনের সাথে টাকা সজিবের কাছে দেই। সজিব চেয়ারম্যানের কাছে দেয়। চার মাস আগে দিলেও ঘর না পাওয়ায় আমি সজিবকে বলি আমার ঘর দরকার নাই টাকা ফেরৎ দাও। তখন সজিব উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয় জিজ্ঞাস করলে সে সজিবের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। তখন দু জনে ধাক্কাধাক্কি হয়। সে বলে সজিব নির্দোষ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান এম,মতিউর রহমান জানান, আসামীরা মামলা থেকে বাচার এবং ঘটনাকে অন্য দিকে প্রবাহিত করার জন্য উত্তম কুমার কে দিয়ে সজিব গ্রুপ জজমিয়া নাটকে রুপ দিয়ে ভিডিও ছেড়েছে। এগুলো মিথ্যে ও বানোয়াট। আমি কোন টাকা ছাড়াই অনেকেকে ঘরের জন্য সুপারিশ করেছি, ঘর দিয়েছি।
গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলাা চেয়ারম্যান এম,মতিউর রহমান বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় চাদাঁ দাবী ও হত্যার হুমকী সহ গাড়ী ভাংচুরের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য চাড়াখালী গ্রামের আলম হাওলাদারে ছেলে সজীব হাওলাদার ও সদর উপজেলার খামঘাটা গ্রামের কামাল তালুকদারের ছেলে মামুন তালুকদার। এছাড়া এজাহারে অজ্ঞাত সাত থেকে আটজন আসামী উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত সোমবার রাতে ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সরকারী বাসভবন থেকে পিরোজপুর যাওয়ায় পথে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সজীব হাওলাদার সহ তিন চারজন তার গাড়ী থামিয়ে কথা বলছিল। কথার একপর্যায় বাকবিতান্ডায় তার উপর কিল ঘুষি মেরে হামলা করে। তাকে জীবন নাশের হুমকী দেয়। এবং তারা গাড়ীর বাম গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে।
এইচকেআর