স্মার্ট ফোন না দেয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর গলায় ফাঁস

আর এসএসসি পরীক্ষা দেয়া হলো না রিয়াজের। মা-বাবার স্বপ্ন ছিল সে বড় একটা চাকুরী করবে তা আর হল না। পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বড় ভাই স্মার্ট ফোন না দেয়ায় ছোট ভাই এসএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে জীবন দিল। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পাড়েররহাট ইউনিয়নের হোগলাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পড়েরহাট রাজলক্ষী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী হোগলাবুনিয়া গ্রামের দিনমজুর সোবাহান হাওলাদারের ছেলে রিয়াজ হাওলাদার (১৬) তার বড় ভাই গার্মেন্টস কর্মীর কাছে তার ব্যবহারিত স্মার্ট ফোনটি চেয়েছিল। কিন্তু তার বড় ভাই এসএসসি পরীক্ষার পর দিবে বললেও তার ছোট ভাই তা না শুনে অভিমান করে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
খবর পেয়ে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ রাতেই লাশটি উদ্ধার করে বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
হোগলাবুনিয়া ওয়াডের্র ইউপি সদস্য হাফেজ আবুল বাশার জানান, বড় ভাই গার্মেন্টেসে চাকুরি করে সে নতুন একটি স্মার্ট ফোন কিনছে। সেই ফোনটি তার কাছে চেয়েছে না দেয়ায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছে।
পিতা সোবাহান হাওলাদার বলেন, আমি একজন দিনমজুর আমার ছেলেকে লেখাপড়া করে বড় চাকুরী করাব তা আর কপালে জুটল না। একটি মোবাইলের জন্য গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেল।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ এনামুল হক জানান, একটি স্মার্ট ফোনের জন্য এসএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে একটি ইউডি মামলা করে ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এমইউআর