ভান্ডারিয়ায় যুদ্ধকালীন স্মৃতিচারণ সভা অনুষ্ঠিত
.jpg)
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় বৃহস্পতিবার (১০মার্চ) স্থানীয় বিহারী লাল মিত্র পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মূচারী ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে যুদ্ধকালীন স্মৃতিচারণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনিুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাগণ কর্তৃক স্মৃতিচারণ সভায় শিক্ষক-শিক্ষিকি ও শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক সীমা রানী ধর।
বিহারী লাল মিত্র পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খান এনায়েত করিম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ মৃধা, আ. বারেক সিকদার, মো. জবলুর রশিদ মৃধা, মো. হারুন অর রশিদ, সতীষ চন্দ্র মালী প্রমুখ।
স্মৃতিচারণ সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা খান এনায়েত করিম বলেন, দেশ স্বাধীনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণই ছিল অন্যতম। ঐ ভাষণে বঙ্গবন্ধু ১৮মিনিটের অলিখিত বক্তব্য রাখেন। যা বিশ্বের অন্য কোন নেতার পক্ষে সম্ভব ছিলনা। যা ইউনেক্সো কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত।
তাই নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি মনে রাখার চর্চা গ্রহন করতে হবে। এ ছাড়াও দেশ স্বাধীনে জনমত গড়তে তখন দৈনিক ইত্তেফাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভান্ডারিয়ার কৃতি সন্তান উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক এবং দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া তখন ছদ্মনামে মোসাফির কলাম লিখত।
খান এনায়েত স্মৃতিচারণ করে আরো বলেন, এই মিয়া পরিবারের সন্তান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ৯ নম্বর সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ এর নেতৃত্বে আমরা সেদিন জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীনে অংশ নিয়েছিলাম। এই বিদ্যালয় মাঠই ছিল তখন আমাদের ঘাটি। এ জন্য তাদের ও স্বরণ করতে হবে। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এমইউআর