আদব’ই তরীকার মূলমন্ত্র: ছারছীনা পীর

আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মাা.জি.আ.) বলেছেন, আল্লাহ পাক কিয়ামত দিবসে মানুষকে তার অন্ত:করণের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে বিচার করবেন। জাহেরী সৌন্দর্য ও আকৃতি ও পদ মর্যাদার প্রতি তিনি কোনরূপ ভ্রুক্ষেপ করবেন না।
মাহফিলের ১ম দিন শনিবার বাদ মাগরিব তা’লীম পরবর্তী বয়ানে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নিজের আমলী জিন্দেগী গঠন করে পরকালীন মুক্তির পথ সুগম করার ক্ষেত্রে আমাদের তরীকা মশকের কোন বিকল্প নেই। আর তরীকা মানুষকে ‘আদব’ শিক্ষা দেয়। কেননা মনীষী জুনাইদ বাগদাদী (রহ.) হতে বর্ণিত আছে ‘আত্ তরীকু কুল্লুহু আদব’ তরীকার সর্বাংশই আদবের মধ্যে। তাই আমাদিগকে আখলাকী মুসলমান হতে হবে। ইসলামের প্রথম যুগে হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের আখলাক ও আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়েই অমুসলিমরা দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করেছিল। আল্লাহ তা’য়ালা এরশাদ করেছেন ‘আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আপনি তাদের প্রতি কোমল ব্যবহার করেছেন। পক্ষান্তরে যদি আপনি রূঢ় আচরণকারী এবং কঠিন অন্ত:করণের অধিকারী হতেন তাহলে তারা আপনার নিকট হতে দূরে সরে যেত।’ একথা সত:সিদ্ধ যে, ইসলামের প্রসার ঘটেছে মুসলমানদের উদারতার দ্বারা তরবারী বা জোর-জবরদস্তীর মাধ্যমে নয়।
দিন ও রাত ব্যাপী ওয়াজ-বক্তৃতায় অংশ গ্রহণ করেন মাওলানা মোঃ ছফীউল্লাহ আল মামুন, মাওলানা আ.জ.ম. ওবায়দুল্লাহ্, মরহুম পীরের সফর সঙ্গী মাওলানা আবু জা’ফর মোঃ শামসুদ্দোহা, মাওলানা আবু জা’ফর মোঃ অহিদুল আলম, মাওলানা কাজী মোঃ মফিজ উদ্দিন, পীরের ছোট ছাহেবজাদা হাফেজ মাওলানা শাহ্ আবু বকর মোহাম্মাদ ছালেহ নেছারুল্লাহ্, মাওলানা মাহমুদুল মুনীর হামীম এবং হযরত পীরের সফরসঙ্গী মাওলানা মো. মুহিব্বুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমূখ।
মাহফিলের ২য় দিন রবিবার। আগামীকাল বাদ জোহর দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সার্বিক কল্যাণ কামনা করে হযরত পীর ছাহেব কেবলা আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করবেন।
এইচকেআর