সাত বছরেও মেরামত হয়নি ভাঙা সেতু

প্রায় ৭ বছর আগে বালুবাহী কার্গোর ধাক্কায় ভেঙ্গে পড়ে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের খানাকুনিয়ারি গ্রামের গুদিঘাটা খালের সেতু। তারপর থেকেই বাঁশ ও নারিকেল গাছ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছে ১৫ গ্রামের বাসিন্দা। সেতুটি ভেঙে গেলে আজও সেটি নতুন করে নির্মিত হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, ২০০১ সালে ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের লোহার সেতুটি নির্মিত হয়। সাত বছর আগে বালুবাহী কার্গোর ধাক্কায় সেতুটির লোহার খুটিটি নড়বড়ে হয়ে যায়। হঠাৎ করেই এর কিছুদিন পর সেতুর পশ্চিম প্রান্তের একাংশ খালে ভেঙে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহাদাৎ খন্দকার বলেন, ব্রীজ না থাকার কারনে আমরা অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করি। প্রায়ই এই সাকো দিয়ে লোকজন পানিতে পরে যায়। অনেক মহিলা ও শিশুরা সাকো ভেঙ্গে পড়ে গেছে। বাচ্চারা এই সাকোতে উঠতে ভয় পায় যার কারনে তারা ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারে না।
স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ বলেন, কত মেম্বার, চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রীরে বললাম আমাদের এই সেতুটি ঠিক করে দেন কিন্তু কেউ এই সেতুটির ব্যাপারে কোন কথা বলে না। সবাই শুধু বলে করে দেব কিন্তু কেউ এই সেতুটি নতুন করে নির্মান করে দেয় না। সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি তিনি যেন আমাদের এই সেতুটি আবার নতুন করে নির্মান করে দেন।
পিরোজপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী হরষিৎ সরকার বলেন, ভাঙা সেতুটির জায়গায় নতুন গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হবে। এ জন্য ডিপিপি তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এসএম