কাউখালীতে দুই কিলোমিটার সড়ক এখন মহাদূর্ভোগ!

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের পাঙ্গাসিয়া খালের উত্তর পাড় বেলতলা ঢাল থেকে ফলইবুনিয়া পঞ্চায়েত বাড়ী পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক পাকা না হওয়ায় রাস্তাটি এখন মহাদূর্ভোগের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কটির কারনে ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের প্রায় ২/৩ হাজার মানুষকে চলাচলে পোহাতে হয় সীমাহীন দূর্ভোগ। সড়কটির বেলতলা ব্রীজের ঢালের কিছু অংশ হেরিংবন থাকলেও বাকী সড়কটি মাটির। বর্ষার মৌসুমে সড়কের প্রায় জায়গাতেই বড় বড় খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়।
এ সড়কটি দিয়ে প্রতি নিয়ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, উপজেলা ও জেলাগামী লোকজন যাতায়াত করে। সড়কটির অবস্থা এতই বেহাল যে, কোন যানবাহন এর সড়কে প্রবেশ করতে পারে না। এ সড়কটি দিয়ে শংকরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোলাগাতী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, জোলাগাতী হাই স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, জোলাগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঙ্গাসিয়া বাজার, শংকরপুর বাজারগামী শিক্ষার্থী ও জনগণ যাতায়াত করে। কিন্তু বর্ষার মৌসুমে সড়কটিতে খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়ে পানি জমায় শিক্ষার্থী ও সাধারন জনগণ চলাচল করতে পারে না।
ফলইবুনিয়া গ্রামের মোঃ জিয়াউর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পাকা হয়নি। বর্তমান সরকার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় রাস্তা ছাড়াও ছোট খাটো রাস্তা পাকা করলেও এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড় কেনো পাকা করছে না তা বোধগম্য নয়। বেশ কয়েকবার মাপ ঝোপ করা হয় এবং রাস্তাটির আইডি হয় কিন্তু কোন কারনে রাস্তাটি সংস্কার কিংবা পাকা হচ্ছেনা তা আমরা জানিনা।
ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা মোঃ হুমাযূন জানান, বর্ষার মৌসুমে কোমলমতি শিশুরা তাদের স্কুল ব্যাগে বাড়তি কাপড় নিয়ে যেতে হয় কেননা রাস্তাটি পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে যায় তাছাড়া পানিতে ডুবে যায়। এ সড়কটি এতই খারাপ অবস্থা যে, প্রতিনিয়ত কোন না কোন দূর্ঘটনা ঘটছে। আমরা এলাকাবাসী সংশিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যাতে বর্ষার আগেই যাতে রাস্তাটি পাকা করা হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সিকদার মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, শংকরপুর থেকে রাস্তার দুই পার্শ্বে মাটি ভরাটের কাজ চলছে এবং এই সড়কের আইডি হয়েছে। সড়কটি পিরোজপুর এলজিইডি প্রজেক্ট এ দেয়া হয়েছে ।
তারিকুল ইসলাম পান্নু/কাউখালী
এইচকেআর