নাজিরপুরে ১১ ইউপি মেম্বারকে মারধর: চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মালিখালী ইউপি’র ১১ মেম্বারকে মারধরের অভিযোগে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. নাজমুল হাওলাদার বাদী হয়ে ১০ এপ্রিল আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউপি’র চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন দাড়িয়া বাবুল’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করে ওই ইউপি’র ১১ মেম্বার গত ১৬ মার্চ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনাস্থা প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগকারী মেম্বারদের তার অফিসে ডাকেন। এর প্রেক্ষিতে মেম্বাররা গত ৭ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার কালে চেয়াম্যানের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন ক্যাডার বাহিনী ওই ইউনিয়নের ৩ নারী সদস্যদের শ্লীলতা হানীর চেষ্টা সহ ৮ পুরুষ সদস্যদের মারধর করে। হামলায় ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কদম আলী সহ সবাই কমবেশী আহত হন। আহতরা নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে হামলাকারীরা সেখানে তাদের চিকিৎসা নিতে দেন নি। পরে তারা পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন।
ভুক্তভোগী মেম্বারদের অভিযোগ, এ ঘটনায় তারা নাজিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলেও থানা কোন মামলা নেয়নি। নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ মো. হুমায়ুন কবির জানান, মেম্বারদের দেয়া একটি লিখিত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন দাঁড়িয়া বাবলু জানান, তার বিরোধী চক্রের ইন্দনে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এমন অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ওই দিন চেয়ারম্যান নাজিরপুরেই যান নি বলে দাবী করেন।
উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল দাঁড়িয়া গত ইউপি নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। তিনি গত ২০০৭ সালে চেয়ারম্যান থাকাকালে ত্রানের মালামাল চুরির অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় পলাতক থাকা অবস্থায় ঢাকা থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন।
এইচকেআর