পিরোজপুরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

করোনা মহামারির কারণে ২ বছর পর বাঙালি জাতি পূর্ণোদ্যমে উদযাপন করছে পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের ১ম দিন এবং বাঙালীদের জন্য সবচেয়ে ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব।
করোনা মহামারির আগের মতোই খুব ভোরে এই আনন্দ উদযাপনে রং-বেরংয়ের পোশাক পরে বের হয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। পুরুষরা বাহারী পাজামা-পাঞ্জাবি, নারীরা শাড়ী আর উজ্জ্বল পোশাকে শিশুরা যোগ দিয়েছেন মঙ্গল শোভাযাত্রায়। সবার কন্ঠে ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহু পুরনো চেনা গান ‘এসো হে বৈশাখ’ এসো এসো। গান গেয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ শেষে বাঙালির ঐতিহ্য বৈশাখী মেলার উদ্বোধনের মাধ্যমে বাঙালি বরণ করে নেয় বাংলা নতুন বছর-১৪২৯।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং জেলা শিল্পকলার ব্যবস্থাপনায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গন থেকে ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান এর নেতৃত্বে পিরোজপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিল্পকলা একাডেমী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা রং-বেরংয়ের বাঙালি ঐতিহ্য পালকী, বর-বধু,জেলে,কৃষাণ-কৃষাণী বহু সাজে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করে। মঙ্গল শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ শেষে সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিন দিন ব্যাপি বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) চৌধুরী রওশন ইসলাম, শিল্পকলা একাডেমীর সম্পাদক জিয়াউল আহসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আ. জ. মো: মাসুদুজামান সহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। তিনদিন ব্যাপি এ মেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্য সমৃদ্ধ বিভিন্ন ষ্টল সাজানো হয়েছে। রয়েছে নাগরদোলা নৌকাদোলাসহ বিভিন্ন রাইডস।
ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলায় দীর্ঘদিন পর মানুষ ভিড় জমাবেন, কিনবেন ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প খেলনাসহ নানান জিনিসপত্র। এ বছর পহেলা বৈশাখ রমজান মাসে হওয়ায় আয়োজনে জনসমাগম কিছুটা কম।
এমইউআর